নিউজলেটার - ৩৩
খানকাহ
পীর দরবেশরা যেখানে আস্তানা করে থাকতেন সেটাকে খানকাহ বলা হতো। খানকাহ দের ইতিহাস, তাদের নিয়ম নীতি কেমন ছিল, কীভাবে সেখানে সূফীরা এবং তাদের সঙ্গীরা থাকতেন এসব নিয়ে আলোচনা আছে এই রিসার্চ পেপারে।
কিছু লোক থাকতেন স্থায়ীভাবে, তাদের নিয়ম নীতি মেনে সেখানে বাস করতে হতো, যেমন কীভাবে ও কখন ঘুমাতে হবে, কীভাবে হাঁটতে হবে, কীভাবে কথা বলতে হবে ইত্যাদি সকল কিছুর নিয়ম থাকত।
অন্য দল ছিলেন মূসাফির। মূসাফির হিসেবে আপনি যদি ওই সময়ে কোন খানকায় গিয়ে থাকতে চাইতেন তাহলে আসরের আগে যেতে হত। আসরের পড়ে গেলে বলা হতো আজকের রাত আপনি কোন মসজিদে কাটিয়ে দিন। আর তিনদিনের বেশি থাকতে হলে কাজের দায়িত্বের ভাগ নিতে হতো।
নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার খানকায় তিনি কীভাবে প্রতিদিনের কাজ করতেন এর স্বল্প বর্ননা আছে। রোজা রাখতেন, এবং সেহরির সময় খুব অল্প খেতেন, এবং বলতেন, কত লোক না খেয়ে পড়ে আছে, তাদের রেখে আমার গলা দিয়ে খাবার নামবে না।
মানুষেরা দেখা করতে আসতেন ও নানা কিছু দিয়ে যেতেন।
চিশতিয়া খানকায় সুলতান আসতে পারতেন না স্বাক্ষাতের জন্য। তারা সরকারের কোন সাহায্য নিতেন না। কারো কাছ থেকে চেয়ে কিছু নিতেন না। একবার সুলতানের দূত সুলতান স্বাক্ষাত করবেন এ নিয়ে বার বার অনুরোধ করতে থাকলে নিজাম উদ্দিন আউলিয়া বলেছিলেন, সুলতান এক দরজা দিয়ে প্রবেশ করলে আমি অন্য দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাব।
মুলতানের সহরাওয়ার্দি খানকাহ চিশতী খানকার চাইতে আলাদাভাবে পরিচালিত হত, তারা সরকারী সাহায্য নিত।
খানকায় রান্নাঘর খোলা থাকতো। তারা এই হাদিস মেনে চলতেন, "কেউ কোন জীবিত মানুষের সাথে দেখা করল, কিন্তু তার কাছ থেকে কিছু খেতে পেল না, তার মানে সে এক মৃত লোকের সাথে স্বাক্ষাত করলো।"
খানকা ও খানকী
গুরুচণ্ডালীতে সৌরভ মিত্রের একটি লেখা আছে অপশব্দ নিয়ে, সেখান থেকে এক অংশ,
“দুই বাংলায় বেশ কয়েকটি ‘খানকা-শরীফ’ নামের প্রতিষ্ঠান আছে। সুফী পীর ও দরবেশদের বসবাস ও দরবারের (মূলত মারফতি চর্চার) স্থানকে বলা হোত ‘খানকা’ (তথ্যসূত্র: ‘নির্বাচিত প্রবন্ধ’ – নীরদচন্দ্র চৌধুরী)। হিন্দু, মুসলিম, পুরুষ, নারী, সবার জন্য সেখানে ‘অবারিত দ্বার’। সুফী দর্শনে বিশ্বাসীরা প্রচলিত ধর্মীয় সংগঠনের সমালোচনা করত। সমাজে বামুন-পুরুৎ ও মোল্লার কর্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলত। ফলে তারা ওই দু’পক্ষেরই মারধোর, গালাগালির পাত্র ছিল (এবং এখনও আছে)। ফলে স্বাভাবিকভাবেই (সমষ্টিগত) বামনাই, মোল্লাতন্ত্র আর শস্তা পুরুষতন্ত্রের ঘোঁটে ‘খানকা’য় বসবাসকারী/ যাতায়াতকারী, অর্থাৎ ‘খানকি’ (বা ‘খানকী’)-দের ‘দেহ-উপজীবি’ হিসেবে দাগানো শুরু হয়। যদিও এখনও আমরা স্থান বোঝাতে ‘এখানকার’/ ‘সেখানকার’ –জাতীয় শব্দগুলি ব্যবহার করে থাকি। আর প্রমিত ভাষা তাতে আপত্তি তোলে না।"
যেকোন পেইড রিসার্চ পেপার ফ্রিতে ডাউনলোড করতে সাইন্স হাব।
বই সাজেশনঃ Tao of Charlie Munger: A Compilation of Quotes from Berkshire Hathaway's Vice Chairman on Life, Business, and the Pursuit of Wealth With Commentary by David Clark
স্টক পণ্ডিতঃ
আমেরিকার স্টক মার্কেট জানুয়ারি ২০২১ এর অবিশ্বাস্য ঘটনা
অন্যান্যঃ
কবি দ্বিজ কানাই রচিত “মহুয়া” পালা
নেটফ্লিক্সে ক্যাটাগরি ভিত্তিক মুভি সার্চ করার গোপন কোড। লিংক।
পুরা কম্পিউটার সাইন্স ডিগ্রি কোর্স। লিংক।
ব্যর্থতার সাথে ডিল করার উপায়। লিংক।
ডিপ্রেশনঃ