মানুষের যৌন আচরণ বিষয়ে
এভলুশনারি সাইকলজিস্ট ডেভিড বাসের বই, হোয়াই ম্যান বিহেভব্যাডলিঃ হিডেন রুট অব সেক্সুয়াল ডিসিপশন, হ্যারাসমেন্ট এন্ড এসল্ট
নারী ও পুরুষের সেক্সুয়াল যুদ্ধটা বুঝতে হবে মানুষের যৌনতা জনিত আচরণ বুঝতে হলে। অনেক আগে আমাদের পূর্বপুরুষেরা যখন জঙ্গলে ছিল, তখন নারী ও পুরুষের স্বার্থ ছিল ভিন্ন।
মূল এজেন্ডা এক, ভালো সন্তান জন্ম দেয়া যে প্রতিকূল অবস্থায় টিকে থাকবে ও জিনকে বহন করে নিয়ে যাবে।
কিন্তু এই কাজে নারীদের ঝুঁকি ছিল বেশি। তখনকার পরিবেশে সন্তান ধারণ আরও বেশি ঝুকিপূর্ণ ছিল, এখনো আমরা মাতৃমৃত্যুহার ইত্যাদির কথা শুনে থাকি।
২০১৭ সালেই ২৯৫০০০ জন নারী মারা গেছেন পৃথিবীতে মাতৃত্বকালীন জটিলতায়।
এই শারীরিক ঝুঁকির সাথে আসে, অতিরিক্ত ক্যালরির বা খাদ্যের হিশাব। সন্তান ধারণকালে একসময় তারে ২০০ ক্যালরির মত অতিরিক্ত খাবার নিতে হয় প্রতিদিন, ঐ পুরা ট্রিমেস্টারের হিশাবে হয় প্রায় ১৮০০০ ক্যালরি অতিরিক্ত, যেটা ঐ প্রতিকূল জঙ্গলি সময়ে কঠিন ছিল।
পক্ষান্তরে, পুরুষের ঐ ঝুঁকি ছিল না।
যেহেতু নারীদের ছিল বেশি রিস্ক, তাই তারা পার্টনার চয়েজে হয় চুজি। একটা হাইপোথিসিস আছে, এনিমেল কিংডমের নিয়ন্ত্রণ নারীর হাতে, কারণ তারা ঠিক করে কার বাচ্চা নিবে, কার বাচ্চা নিবে না।রবার্ট ব্রিফল্ট নামের একজন ইংলিশ সার্জন ও এন্থ্রপলোজিস্ট এই প্রস্তাবটা করেন। তিনি বলেন, নারীরা ক্যালকুলেটিভ ভাবে সিদ্ধান্ত নেয় কার সাথে সেক্স করবে কার সাথে করবে না, এবং যেহেতু তাদের হাতে কন্ট্রোল থাকে তাই এমন কোন রিলেশনশিপ বা এসোসিয়েশন হয় না যেখানে নারীর কোন লাভ নাই। এটা চিন্তায় থাক আপাতত, আরেকদিন এই প্রসঙ্গ নিয়ে লেখা যাবে।
আর, অন্যদিকে পুরুষেরা নারীদের মত অত চুজি থাকল না পার্টনার চয়েজের ক্ষেত্রে। কারণ সে যত বেশি জনের সাথে সেক্স করবে তত বেশি তার সন্তান সম্ভাবনা।
রিসার্চে দেখা যায়, অনলাইন ডেটিং এ পুরুষেরা প্রায় সব নারীকেই কমবেশি একরকম আকর্ষনীয় মনে করে। কিন্তু নারীরা ৮০ ভাগ পুরুষরেই বিলো এভারেজ বিবেচনা করে আকর্ষনীয়তার হিশাবে।
সেক্সে ঝুঁকি বেশি থাকায় নারী সম্ভাব্য পার্টনারকে বিচার বিবেচনায় সময় নেয়। পক্ষান্তরে পুরুষ চায় যত তাড়াতাড়ি পারে সেক্স করে নিতে। এইখানে দুইজনের ব্যাপার দ্বন্দ্বমুখর।
নারী জানে তার পার্টনার খারাপ হলে সন্তান ধারণ ও প্রসবজনিত স্ট্রাগলে হেল্প পাবে না, এবং পরে সে একা সন্তান মানুষ করতে পারবে না।
আমরা সবচাইতে লিবারেল এবং সাম্যবাদী দেশগুলা, যেমন নরওয়েতেও যদি দেখি, দেখা যায় পুরুষেরা নারীদের চাইতে বেশি সেক্সুয়াল সঙ্গী চায়। নরওয়েতে এক রিসার্চে জিজ্ঞেস করা হল, আগামী ৩০ বছরে তারা কতজন সঙ্গী চায়।
পুরুষেরা জানাল ২৫ জন। নারীরা ৫ জন।
পার্থক্য দেখেন ২৫ - ৫ = ২০ জনের!
এখন কোন এক সেক্সুয়াল রিলেশনশিপে থাকা অবস্থায়, দুই সঙ্গীর মধ্যে পুরুষ যখন বাইরের কারো সাথে সেক্স করে না জানিয়ে, এবং নারী যখন করে, দুইটার কারণ ভিন্ন ভিন্ন হয়।
পুরুষ করে সেক্সুয়াল ভ্যারাইটির জন্য। অনেক পুরুষ ভেতরে জন্মানো যৌন আকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণের ভেতর রাখতে পারে না। ফলে সে নিজের সঙ্গীকে না জানিয়ে অন্য আরেকজনের সাথে সেক্স করে, কিন্তু আবার নিজের সঙ্গীর সাথেও হ্যাপি থাকে। সে বাইরে সেক্স করে কারণ সে সম্পর্কে হ্যাপি না, সাধারণত এমন হয় না।
আপনারা মনে করতে পারেন শিক্ষিত পতিতার আত্মচরিত বইতে মানদা দেবী কী বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তার অভিজ্ঞতায় দেখেছেন যারা বউকে ভালবাসে তারা পতিতাকেও ভালোবাসে।
আধুনিক রিসার্চ তার এই উপলব্ধির সাথে মিলে।
কিন্তু নারী যখন সম্পর্কের বাইরে গিয়ে সেক্স করে, তখন সাধারণত সে সম্পর্কে আনহ্যাপি থাকে। তারা বিদ্যমান সম্পর্ক থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখতে চায়।
দেখা গেছে ৩০ ভাগ পুরুষ তার এফেয়ার পার্টনারের সাথে প্রেমে পড়ার কথা জানালেও, নারীরা ৭৯ ভাগ ক্ষেত্রে জানায় তারা এফেয়ার পার্টনারের প্রেমে পড়ে।
মানুষ তার যৌন সঙ্গীর ক্ষেত্রে যেসব বৈশিষ্ট্য আশা করে, বিপরীত লিঙ্গের বন্ধুর ক্ষেত্রেও একইরকম বৈশিষ্ট্য আশা করে। যেমন পুরুষ চায় তার নারী বন্ধু সুন্দরী হোক। অন্যদিকে নারীরা চায় তার পুরুষ বন্ধু হোক শক্তিশালী, এবং টাকা পয়সাওলা হোক।
মজার ব্যাপার হল, রিসার্চে দেখা গেছে, ভালো সম্পর্কে থাকা নারী পুরুষেরাও "বিকল্প" অপশন রাখে, বিপরীত লিঙ্গের সাথে বন্ধুত্ব রেখে। যাতে তাদের সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলে এই বিকল্প অপশনকে তারা বেছে নিতে পারে।
নারী পুরুষের যৌন সম্পর্কের ভেতরে একটা সমস্যা হল, অন্য নারী বা পুরুষেরা তাদের সঙ্গীকে সেক্সের জন্য নিয়ে যেতে পারে। এই রেট খুব হাই, ৮৭ পার্সেন্ট পুরুষ জানিয়েছে তারা এটি করেছে, ৭৫% নারী জানিয়েছে তারা কোন সম্পর্ক থাকা কাউকে সেক্সের জন্য ভাগিয়ে নিতে চেয়েছে। মানে, ব্যাপারটা কমন।
এইজন্য সঙ্গী ও সঙ্গিনীরা পরস্পরকে গার্ড দিয়ে রাখে, এবং এইজন্যই মানুষের মধ্যে রোমান্টিক জেলাসি ব্যাপারটা এসেছে। এই জেলাসির মাধ্যমে তারা নিয়মিত তাদের সঙ্গীকে গার্ড দিয়ে রাখে।
কখনো এটি খারাপ পর্যায়ে চলে যায়, কারো অসুস্থতা পর্যায়ে যায়, কিন্তু আদতে এটি অপরিহার্য প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে।
মেট গার্ডের ক্ষেত্রে পুরুষেরা এগিয়ে। দেখা গেছে তারা সঙ্গিনীকে বেশি গার্ড দেয়। সঙ্গিনী সুন্দর হলে পুরুষ বেশি গার্ড দেয়, পক্ষান্তরে সঙ্গী সুন্দর হলে নারী অত গার্ড দেয় না, বরং তার সঙ্গীকে যদি অর্থনৈতিক ভাবে বেশি সফল হয় তখন নারী বেশি গার্ড দেয়।
অর্থাৎ, পার্টনার ধনী হলে নারী বেশি গার্ড দিয়ে রাখে।
এই রিসার্চ দেখে নারীকে লোভী বলবেন না। কারণ ইকোনমিক রিসোর্স গুরুত্বপূর্ণ ছিল তার সন্তান টিকিয়ে রাখতে, সেই ধারাবাহিকতাতেই এই আচরণ।
যখন বুড়ো লোকের কমবয়েসী সুন্দরী বউ থাকে তখন সে বেশি এগ্রেসিভ হয়ে থাকে গার্ড দেয়ার ক্ষেত্রে, এবং এটি প্রায়ই এবিউজের পর্যায়ে চলে যেতে পারে। হাজবেন্ডের বয়স ৫-২৫ বছর বেশি হলে এগ্রেশনের সম্ভাবনা বাড়ে।
একটা কথা আছে, সম্পর্কে দুইজনই যদি মনে করে এই সঙ্গী পেয়ে সে জিতেছে মানে তার লাভ হয়েছে, তখন সেই সম্পর্ক হয় ভালো। পার্টনারদের মধ্যে একজন যদি নিজেকে মনে করে তার ভ্যালু বেশি, তাহলে তার চিট করার সম্ভাবনা বেশি। অন্যদিকে, যে মনে করে তার ভ্যালু কম, তার গার্ড দেবার সম্ভাবনা বেশি।
দেখা গেছে লম্বা লোকের চাইতে খাটো লোকেরা বেশি জেলাসি প্রদর্শন করেন সঙ্গীর উপরে। নিজের ভ্যালু কম মনে করা সঙ্গীরা অন্য পার্টনারের প্রতি এগ্রেসিভ, এবং ভায়োলেন্ট হয়ে উঠে বেশি।
একবার এক রিসার্চে নিউ ইয়র্কের একটা রাস্তায় যেতে থাকা মানুষের ভিডিও করা হল। এরপর হিংস্র অপরাধ করে জেলে বন্দি ৫৩ জন লোককে এই ভিডিও দেখিয়ে জিজ্ঞেস করা হল কাকে তারা টার্গেট করবে। দেখা গেল বেশীরভাগেই টার্গেট করে তাদের, যারা একটু অস্বাভাবিক ভাবে হেঁটেছে, অর্থাৎ নিজের উচ্চতার অনুপাতে লম্বা বা খাটো পায়ে হেঁটেছে।
আরেকটা রিসার্চে দেখা গেছে, যেসব মহিলা আগে সেক্সুয়ালি আক্রমণের শিকার হয়েছে বলে, প্রিডেটররা তাদেরই টার্গেট করে। অর্থাৎ, তাদের এই প্রকাশ করাটা প্রিডেটরদের কাছে একটা কিউ হিশাবে কাজ করে।
যেসব পুরুষের ডার্ক ট্রায়াড পার্সোনালিটি ট্রেইট আছে তারা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আক্রমণাত্মক, বা প্রিডেটরি আচরণ, সেক্সুয়াল মিসবিহেভ করতে পারে বেশি। মানে, সম্ভাবনা বেশি থাকে।
ডার্ক ট্রায়াড হল,
নার্সিসিজম - নিজে অতি গুরুত্বপূর্ণ, নিজেই মনে করা। নিজের আরোপিত নিজ গুরুত্ব।
ম্যাকিয়াভেলিয়ানিজম - পলিটিক্যাল থিংকার ম্যাকিয়াভেলির নামে, তার প্রিন্স বই এর জন্য, যদিও বইটার অন্যরকম ইন্টারপ্রিটেশন আছে। কিন্তু সাইকোলজিতে এই টার্ম দিয়ে বুঝায়, ম্যানিপুলেশন, দ্বিচারিতা, এবং পদ্বতিগত ভাবে এক্সপ্লয়েট করাকে। যেমন গ্যাসলাইটিং।
সাইকোপ্যাথি - সিম্পেথিহীন, সিনিসিজম, নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি।
সাম্প্রতিক কালে ভাইরাল হওয়া সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের বক্তব্যগুলি দেখলে তার ভেতরে এই ডার্ক ট্রায়াড মিলবে।
তিনি মারাত্মক ভাবে নিজেরে গুরুত্বপূর্ণ ভাবতেন। সেই ভাবনার প্রকাশ ঘটাতেন প্রকাশ্যে, যা স্বাভাবিক লোকের কাছে উইয়ার্ড ঠেকবে।
দ্বিচারিতা তার মধ্যে স্পষ্ট, একবার বলছেন জাইমা রহমানকে খারাপ কথা, পরেরদিন বলছেন তার মেয়ের মত। একবার খালেদা জিয়াকে নিয়ে কথা বলছেন, ক'দিন পরেই বলছেন তার মায়ের বয়েসী। এগুলা আপাত, ও দৃশ্যমান দ্বিচারিতা।
সাইকপ্যাথি, যখন তিনি জাইমা রহমানকে নিয়ে বললেন, বা অসুস্থ খালেদা জিয়াকে নিয়ে বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বক্তব্যে শাকিব খান, মৌসুমী ইত্যাদি বিভিন্ন জনকে নিয়ে, তার মধ্যে এটা কাজ করে নি ঐ ব্যক্তি কী মনে করবে। এই অনুভূতি শূন্যতা তাকে অবলীলায় বার বার এমন কাজ করতে সাহায্য করেছে। এটা তার ক্যারেক্টার ট্রেইট।
যেসব নারীর ডার্ক ট্রায়াড বৈশিষ্ট্য আছে এরা কোন সম্পর্ক থেকে সেক্সের জন্য পুরুষকে নিয়ে নেয়া, কর্মক্ষেত্রে সুবিধা নিতে সেক্সকে ব্যবহার ইত্যাদি করে থাকে বেশি।
একটা হাইপোথিসিস আছে এমন, যখন পুরুষেরা যৌনতা বঞ্চিত থাকে তথা যৌনতার দিক থেকে অভুক্ত থাকে, তখন তারা জোর করে যৌনতাজনিত সহিংসতা করে বেশি। মেইট ডেপ্রাইভেশন হাইপোথিসিস বলা হয় একে ইংরাজিতে। কিন্তু স্টাডিতে দেখা গেছে এর উলটাটা হয়। যাদের কম সঙ্গী আছে তাদের তুলনায় যাদের বেশি যৌন সঙ্গী আছে সেসব পুরুষেরাই বেশি যৌন সহিংসতা করে।
দেখা গেছে, যেসব পুরুষেরা জনপ্রিয়, ধনী এবং পাওয়ারফুল এরা বেশি প্রিডেটরি আচরণ করে। এর কারণ সম্ভবত, ডার্ক ট্রায়াড বৈশিষ্ট্যের পুরুষেরাই সাধারণত ধনী, জনপ্রিয় ও পাওয়ারফুল হয় বেশি, এদের এম্প্যাথী থাকে কম সাধারণত।
আরেকটা কারণ হতে পারে, যেসব মানুষ জনপ্রিয় এদের সাথে নারীরা ভিন্ন রকম আচরণ করে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের করা নারীদের প্রতি বাজে আচরণ নিয়ে যখন কথা উঠেছিল, তখন কার্টুনিস্ট ও পারসুয়েশন বিশেষজ্ঞ স্কট এডামস বিষয়টা সামনে আনেন। তার কথা ছিল, একজন সাধারণ লোকের সাথে একজন নারী যে আচরণ করে একজন বিখ্যাত ধনী লোকের সাথে একইরকম আচরণ করে না, তার কাছে ভিন্ন এক রূপ দেখায়। ফলে ওইসব জায়গায় বাজে আচরণ বিষয়ে কথা উঠলে, এইদিকটাও বিবেচনা করা উচিত।
এখানে স্মরণযোগ্য, রেইপ কিন্তু একটা পাওয়ার ক্রাইম।
দেখা গেছে নারীরা সবচাইতে বেশি ভয় পায় রেইপের। তাদের অন্যান্য ক্রাইমে আক্রান্ত হবার ভয়ও এই রেইপে বা সেক্সুয়ালি আক্রান্ত হবার ভয় থেকে আগত। যদি এই রেইপের ভয় তাদের থেকে দূর করা যায় তাহলে দেখা যায় অন্যান্য ক্রাইমে আক্রান্ত হবার ভয় তাদের পুরুষের চাইতে বেশি হয় না, প্রায় একরকমই থাকে।
এটা একটা ইন্টারেস্টিং ফাইন্ডিং। এর সূত্র ধরে বলা যায়, যৌন ক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলেই তারা ভয় ভীতি অনুভবের ক্ষেত্রে পুরুষের মতোই হয়ে উঠবে। আবার এটাও বলা যায় যে, কোন সমাজ নারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে তাদের যৌন সহিংসতার ভয় দেখিয়ে রাখবে।
উপরোক্ত অনেক আচরণ উদ্ভূত হয়েছে বিবর্তনীয় বাস্তবতায়, এডাপ্ট করতে গিয়ে। এইগুলারে প্রাকৃতিক বলে ভালো বলার কোন জায়গা নাই, রোগ ব্যাধিও একইরকম বিবর্তনীয় বাস্তবতার ফল। কিন্তু ভ্যাকসিন ওষুধ ইত্যাদির মাধ্যমে আমরা এগুলি প্রতিরোধ করি বাঁচার জন্যই। একইভাবে, সমাজ মানুষের যৌনতা কেন্দ্রিক অপরাধমূলক আচরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য নৈতিক নিয়ম, আইন তৈরি করেছে, এবং একজন মানুষ নিজে ব্যক্তিগত সামাজিক নানা পদঃক্ষেপের মাধ্যমে এগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
এভলুশনারি সাইকোলজিস্ট ডেভিড বাসের বই, হোয়াই ম্যান বিহেভব্যাডলিঃ হিডেন রুট অব সেক্সুয়াল ডিসিপশন, হ্যারাসমেন্ট এন্ড এসল্টে উপরিউক্ত রিসার্চগুলির কথা আছ। এভলুশনারি সাইকোলজি মানুষের আচরণ ও বাস্তবতারে ব্যাখ্যা করার একটা ওয়ে, একমাত্র ওয়ে না। এই ধারায় থিংকারেরা ধরে নেন মানুষের ব্রেইন, মাইন্ড এবং শারীরিক ব্যাপারগুলা তার জিন ও পরিবেশের সম্মিলিত প্রভাবে নির্ধারিত হয়। এটা জেনেটিক ডিটারমিনিজম না, ধরা হয় এইসব এডাপটেশনের জেনেটিক বেসিস আছে।