এলন মাস্কের বিগেস্ট চ্যালেঞ্জ একইসাথে পেন্টাগন ও চীনের সাথে ব্যবসা চালাইয়া যাওয়া।
নাসা, পেন্টাগনের সাথে স্পর্শকাতর নিরাপত্তা বিষয়ক জায়গায় ব্যবসা করছে স্পেইস এক্স। ১৪৯ মিলিয়ন ডলারের কন্ট্রাক্ট আছে মিজাইল ওয়ার্নিং বিষয়ে। নাসার তিন ভাগ্যের দুই ভাগ লঞ্চ তাড়া হ্যান্ডেল করে।
আবার চাইনিজ সরকারের সাথে খুবই ভালো সম্পর্ক ছাড়া চীনে ব্যবসা অসম্ভব। যেটা কদিন আগে জ্যাক মা'র অবস্থা দেখলে বুঝা যায়। তারে চাইনিজ সরকার শক্তভাবে ধরেছে।
চীনে টেসলার ব্যবসা বাড়ছে। এই বছর সেকন্ড কোয়ার্টারে প্রায় ২৩ ভাগ রেভিনিউ এসেছে চীন থেকে, ২০১৯ এর থেকে দ্বিগুণ উন্নতি। টেসলা চীনে ৫ বিলিয়ন ডলারের গিগাফ্যাক্টরি করেছে, যেখান থেকে বছরে চাইনিজ মার্কেটের জন্য ৫০০ হাজার ইভি তৈরি হবে।
গিগা ফ্যাক্টরি সবচাইতে বড় প্ল্যান্ট চীনে বাইরের কোম্পানির যেখানে দেশীয় অংশীদার নেই মালিকানায়। আবার আমেরিকান কোন ফার্মের চীনে এটা সবচাইতে বড় ইনভেস্টমেন্টও।
ফ্যাক্টরির জমি লিজ নেয়া। চাইনিজ সরকারী ব্যাংক থেকে টেসলা ১.৬ বিলিয়ন ডলারের ঋণও পেয়েছে।
অন্যান্য অনেক বিগ কোম্পানির, যেমন বয়িং, স্ট্রারবাকস, এপল ইত্যাদিরও চাইনিজ পার্টির সাথে সম্পর্ক ভাল। ফলে তাদেরও ঝামেলা হতে পারে।
কিন্তু কোন সিইও-ই এলন মাস্কের মত চীনের প্রকাশ্য প্রশংসায় যাবার মত সাহস করেন না। অন্যদিকে, যেহেতু রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিষয়ক ব্যাপারগুলি স্পর্শকাতর, তাই এ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে আরও যে, এমন কোম্পানির সাথে কাজ করা নিরাপদ কি না যাদের সাথে চীনের পার্টির ভাল সম্পর্ক।
বাইডেন প্রশাসনের সময়ে চীনের সাথে খুব ভাল সম্পর্ক হয়ে যাবে চীনের এমন না, যেহেতু চীনের আগ্রাসী বিজনেস নীতিকে আমেরিকা ভালো চোখে দেখে না। এবং স্বাভাবিক ভাবেই চীন শক্তিশালী হয়ে যেহেতু গ্লোবাল শক্তির মনোপলিকে ঝাঁকি দিচ্ছে, তাই আমেরিকার সাথে তার সম্পর্ক মধুর হবার সম্ভাবনা খুব কম।
এমতাবস্থায়, যদি সম্পর্ক খারাপ হয়, তাহলে এলন মাস্কের জন্য বিষয়টা সমস্যার হয়ে উঠতে পারে। এবং টেসলার জন্য।
——
পুতিন হাসছেন।
মিডলইস্ট। লিংক।
“‘China regards the Syrian crisis from three perspectives,’ he said: international law and legitimacy; global strategic positioning; and the activities of jihadist Uighurs, from Xinjiang province in China’s far west. Xinjiang borders eight nations – Mongolia, Russia, Kazakhstan, Kyrgyzstan, Tajikistan, Afghanistan, Pakistan and India – and, in China’s view, serves as a funnel for terrorism around the world and within China. Many Uighur fighters now in Syria are known to be members of the East Turkestan Islamic Movement – an often violent separatist organisation that seeks to establish an Islamist Uighur state in Xinjiang. ‘The fact that they have been aided by Turkish intelligence to move from China into Syria through Turkey has caused a tremendous amount of tension between the Chinese and Turkish intelligence,’ Moustapha said. ‘China is concerned that the Turkish role of supporting the Uighur fighters in Syria may be extended in the future to support Turkey’s agenda in Xinjiang. We are already providing the Chinese intelligence service with information regarding these terrorists and the routes they crossed from on travelling into Syria.’ ”
—
গতকাল (৫ নভেম্বর, ২০২০) আমেরিকা পাবলিক করেছে যে তারা ইস্ট তুর্কেস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট নামক গ্রুপটিকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে সরাইয়া দিছে।
আমেরিকান ফরেন পলিসির এমন মুভে চরম অনাস্থা ও বিরোধিতা প্রকাশ করেছে চীন।
জিঞ্জিয়াং প্রদেশে উইঘুর এই সংস্থাটি চীনের সিরিয়াস মাথা ব্যথার কারণ।
উইঘুরদের তারা ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখছে এজন্যই। তাদের মতে এটা ভোকেশনাল ট্রেইনিং। আর আমেরিকা উদ্বেগ জানাচ্ছে যে, আসলে বিশাল সংখ্যক মুসলিম জনসংখ্যাকে তারা অধিকার হরণ করে ক্যাম্পে রেখেছে।
আসলে চীন বন্দী করেই রাখছে।
এই জায়গা চীনের দূর্বল পয়েন্ট। ট্রাম্প প্রশাসন এখানে হিট করল।
বাইডেন প্রশাসনের জন্য প্রধান এক ফরেন পলিসি চ্যালেঞ্জ হবে উইঘুর বিষয়ে চীনের ভূমিকাকে হ্যান্ডেল করা।
ট্রাম্প চীনের প্রতি নানা কারণে ক্ষুব্ধ থাকায় চীনরে ধরাশায়ী করতে উইঘুর নিয়ে অনেক কথা বলতো। ক্ষমতায় গেলে অনেক কিছু করত তার প্রমাণ ইস্ট তুর্কেস্তানরে সন্ত্রাসী লিস্ট থেকে সরানো।
বাইডেনকেও কথা বলতে হবে যেহেতু তার দলে লিবারেলদের সাপোর্ট আছে, আর লিবারেলরা মানবাধিকারের পক্ষে। আবার চীনের সাথেও সম্পর্ক ঠিক রাখতে হবে, ইকোনমিক কারণে। আবার, চীনরে চেক দিয়া রাখতে হবে গ্লোবাল ডমিনেন্স, এবং নিজের ও মিত্রদের বিজনেস সুবিধা-নিরাপত্তার জন্য।
জাকারবার্গ, পিচাই ও ডর্সিরে নিয়া জিজ্ঞাসাবাদ যখন করা হইল কয়েকদিন আগে, তখন তারা জানাইছিল ইরান ও চীন বাইডেনের পক্ষে কাজ করছে। ডিবেটেও এরকম প্রসঙ্গ আসছিল।
চীন বাইডেনরে সমর্থন দিছে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এখন দেখা যাক বাইডেন কীভাবে উভয় সংকট মোকাবেলা করেন।
আমেরিকা ইসলামিক সন্ত্রাস মোকাবেলায় যে পদ্বতি নিছিল, যুদ্ধ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, চীন ঐ পথে যায় নি। হাজার হাজার বছরের ইতিহাস চীনের, এছাড়া আমেরিকার বাজে উদাহরণ আছেই। মাও এর মতাদর্শের বড়া তারা খাইছিল আগেই তাই জানে এগুলা কী জিনিশ। তারা জানে আইডোলজিতে সমস্যা যুদ্ধ দিয়ে সমাধান হবে না। আমূল বদলাইতে হবে এদের চিন্তা। ফলে জিঞ্জিয়াঙ্গে উইঘুরদের প্রতি তারা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় কাজ করতেছে যাতে পরবর্তীতে এই এলাকা তাদের জন্য থ্রেট হইয়া উঠতে না পারে।
চায়না ও উইঘুরদের সমস্যা নিয়ে বিবিসি। লিংক।
---
Gerolamo Cardano, Wiki.
অক্ষবিদ্যাঃ
সম্ভবত প্রাচীন ভারতেই প্রথম প্রবাবিলিটি বা সম্ভাব্যতা ধরণের কিছু চিন্তা শুরু হয়। প্রাচীন গ্রিস এ নিয়ে কোন তত্ত্ব দাঁড় করায় নি, অর্থাৎ তারা এ নিয়ে ভাবেন নি।
অঙ্কবিদ্যায় প্রাচীন ভারতীয়দের অবদান অনেক। ১ ২ ৩ থেকে ৯ পর্যন্ত যে সংখ্যা, এটা ভারতে উদ্ভূত, এবং এখান থেকে নেয় আরবেরা। আরবদের থেকে পায় ইউরোপিয়ানরা। আল এলজেবরার উৎপত্তি হয়। এজন্য এই সংখ্যা ধরনতে হিন্দু-আরব সংখ্যা বলা হয়। সংখ্যার ধারণায় আরেক যুগান্তকারী নতুন জিনিশ, যা গণনাকে আমূল পালটে দেয়, তা হল ০ এর ধারণা। এটাও প্রাচীন ভারতীয়।
মহাভারতে পাশা খেলার কথা এসেছে।
নল রাজার উপাখ্যানে দেখা যায় রাজা নল রাজা ঋতুপর্নের কাছ থেকে অক্ষবিদ্যা শিখেছিলেন। এবং এরপর তিনি তার ভাইকে পাশা খেলায় হারিয়েছিলেন। গল্প এক, এবং দুই।
মাইকেল মধুসূধন দত্তের অসাধারণ বীরাঙ্গনা কাব্যে, যখন দূর্যোধনের স্ত্রী ভানুমতি তাকে পত্র লিখে বলছেন যুদ্ধ থেকে ফিরে আসতে, তখন অক্ষবিদ্যার কথা এসেছে। তিনি বলছিলেন মাতুল শকুনি আপনাকে অক্ষিবিদ্যা শিখিয়ে সর্বনাশটা করলো।
কুক্ষণে মাতুল তব—ক্ষম দুঃখিনীরে –
কুক্ষণে মাতুল তব, ক্ষত্র-কুল-গ্লানি,
আইল হস্তিনাপুরে ।কুক্ষণে শিখিলা
পাপ অক্ষবিদ্যা, নাথ, সে পাপীর কাছে !
লিংক, এখানে সপ্ত সর্গ দেখতে হবে।
- পাবলিক সাইকোলজি বিষয়ে কীয়ের্কেগার্ড -
If I tried to imagine the public as a particular person . . . I should perhaps think of one of the Roman emperors, a large well-fed figure, suffering from boredom, looking only for the sensual intoxication of laughter, since the divine gift of wit is not earthly enough. And so for a change he wanders about, indolent rather than bad, but with a negative desire to dominate. Every one who has read the classical authors knows how many things a Caesar could try out in order to kill time.
The Present Age, Søren Kierkegaard, 1846
১৮৪৬ সালে কিয়ের্কেগার্ডের লেখা "সাধারণ জনগণ" তথা পাবলিক সম্পর্কে। পাবলিকের ক্যারেক্টার কেমন। আমাদের বর্তমান ফেইসবুক জনতার সাথে মিলে যায়।
এরা ওয়েল ফেড- বোরডমে আক্রান্ত, হাস্যরসের ফাতরামি খুঁজে, কারণ উইট এদের নাই। এরা কিছু করতে চায় না, এক্টিভিটি এড়াইয়া অলস থাকতে চায়, আবার নেগেটিভ ডমিনেশনের প্রবণতা রাখে। যেটা তাদের উগ্র মন্তব্যে দেখা যায় সময়ে সময়ে।
এবং সময় ব্যয় করার নানা অদ্ভুত উপায় খুঁজে, রোমান সিজারদের মত। এরা কুত্তাদের সাবস্ক্রাইব করে রাখে ফূর্তির জন্য। এই কুত্তা বলতে কিয়ের্কেগার্ড যা বুঝাইছেন তা ফেইসবুকে হইল কিছু ভাঁড়, ব্যঙ্গ, গালিগালাজ করা লোক যেগুলা পাবলিকের চাইতে সুপিরিয়র ব্যক্তিদের অসভ্য আক্রমণ করে। পাবলিক এতে মজা পায়।
If there is some one superior to the rest, perhaps even a great man, the dog is set on him and the fun begins. The dog goes for him, snapping and tearing at his coattails, allowing itself every possible ill-mannered familiarity-until the public tires, and says it may stop. That is an example of how the public levels.
একসময় তারা মজা নিতে নিতে এই মজায় ক্লান্ত হয়, তখন কুত্তাদের থামতে বলে, এই বলে ভারসাম্য আনে। এই ভারসাম্যটা হইল, তাদের চাইতে ভাল ও সুপিরিয়রদের অপমান করা হল, আর কুত্তারেও কুত্তা হিসাবে রাখা হইল, যে কুত্তারে আবার তারা অপছন্দ করে।
Their betters and superiors in strength are mishandled-and the dog remains a dog which even the public despises.
কিন্তু পাবলিক কোন অনুশোচনায় ভুগে না। তারা বলে, আমরা তো কুত্তা পালি নাই, আমরা তারে ঐটা করতেও বলি নাই। জাস্ট ফলো করছি। তাদের জিজ্ঞেস করা হলে বলবে, এই কুত্তা আমার না।
এইসব কুত্তাদের বিচার হইলে, এবং মারা হইলে, তখন আবার এই পাবলিকই বলে, কুত্তাটা খারাপ ছিল, এরে মারা উচিত কাজ হইছে।
The public is unrepentant, for it is not they who own the dog-they only subscribe. They neither set the dog on any one, nor whistle it of directly. If asked they would answer: the dog is not mine, it has no master. And if the dog had to be killed they would say: it was really a good thing that bad-tempered dog was put down, every one wanted it killed-even the subscribers.
—-
—-
///
Grabel’ Law “ "Two is not equal to three, even for very large values of two."Link
—
আমার নতুন গল্পের বই প্রকাশিত হচ্ছে আগামী বইমেলায়, বৈভব প্রকাশনী থেকে।
আপনার ফেসবুক মেসেঞ্জার বা ওয়াটস আপের "GIF” সেকশনে গিয়ে "বই" লিখে সার্চ করলে প্রচ্ছদ পাবেন এবং কাউকে সহজে সেন্ড করতে পারবেন।