"বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সাইটে নতুন প্রকাশিত লেখা। অবশ্যপাঠ্য।
--
সুকুমার রায় - লড়াই-ক্ষ্যাপা, ছায়াবাজি, সৎপাত্র, কত বড়। লিংক।
গ্রীক উইট বই নিয়ে, লিংক।
স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশঃ ড. কামাল সিদ্দিকীর অভিজ্ঞতায় ভূমি সংস্কার ও ভূমি দখলের রাজনীতি
--
আমি প্রতিদিন একটা নিয়ম মেনে চলি। লিখিত কোন নিয়ম না। প্রতিদিন একইরকম কাজ। যেমন ঘুম থেকে উঠে কী কী করা, ইত্যাদি। সাধারণ কাজগুলিকে এমন একটা প্যাটার্নে রাখলে, গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলির জন্য সময় বের করা যায়। এখন যদি প্রতিদিন চিন্তা করতে হয় আজ চা খাব না কফি খাব, কোন কাপে খাব, চায়ের সাথে আজ কী খাব, তাহলে প্রত্যেক ডিসিশন মেকিং এ এনার্জি খরচ হয়। ডেভিড লিঞ্চও দেখলাম একই কাজ করেন।
--
ডেভিড লেটারম্যানের শো তে ১৯৯৫ সালে বিল গেটস ইন্টারনেট কি তা ব্যাখ্যা করছেন। এখানে যোগাযোগ করা যাবে, সাউন্ড শোনা যাবে, ভিডিও দেখা যাবে। মানুষ শুনে মজা পেয়েছিল। কিন্তু এর সবই এখন বাস্তব।
--
ইসলামের দুই মূল প্রাইমারি টেক্সট এর একটা কুরআন আরেকটা মদীনা সনদ। এই বিবেচনায় যে হাদীস গ্রন্থিত হয়েছে নবীর মৃত্যুর এক/দুইশ বছর পরে।
মদীনা সনদের টেক্সট এ, উম্মাহ বলতে আলাদা পলিটিক্যাল ইউনিট বুঝানো হয়েছে, যেই ইউনিটে ইহুদিসহ অন্যান্যরাও ছিল।
--
হুমায়ূন আহমেদের একটা সাহস ছিল। ব্যক্তিত্ব ছিল। এখনকার কোন পপুলিস্ট বা অন্য যে কোন টাইপের লেখক, এমন অবস্থায়, রোজার মাসে কি সিগারেট ধরানোর সাহস করতে পারত?
—-
Ma Huateng
Founder, chairman and CEO of Tencent (market value more than US$500 billion in 2018).
As of April 2021, he is China's richest man with a net worth of US$62.7 billion according to Bloomberg Billionaires Index.
In November 2017, his net worth briefly surpassed that of Larry Page and Sergey Brin (individually) ranking him the ninth richest man in the world, and the first citizen from China to enter Forbes' top 10 richest list.
Ma's first job was with China Motion Telecom Development, a supplier of telecommunications services and products, where he was in charge of developing software for pagers. He reportedly earned $176 per month.
Along with four other classmates, Ma Huateng went on to co-found Tencent in 1998.
Many of Tencent's software and services are remarkably similar to those of competitors. Huateng famously said, "[To] copy is not evil." A former CEO and president of SINA.com, Wang Zhidong, said, "Pony Ma is a notorious king of copying." Jack Ma of Alibaba Group stated, "The problem with Tencent is the lack of innovation; all of their products are copies."
From WikiPedia.
—
বিজ্ঞান প্রযুক্তি বা মানুষের দোষ ছাড়াও দুনিয়া ধ্বংস হতে পারে
বাক্যের শ্রুতিগুণের কারণে অনেক কথা সমাজে প্রচলিত হয় এবং একসময় ধ্রুবসত্য বলে গৃহীত হয়। যেমন অর্থই সকল অনর্থের মূল। বিজ্ঞান দিয়েছে বেগ কেড়ে নিয়েছে আবেগ।
দুইটা কথাই ধ্রুব সত্য হবার যোগ্যতা রাখে না, কিন্তু শুনতে শুনতে মানুষ এগুলিরে ধ্রুব হিসেবে মেনে নিয়েছে।
এগুলি বলে কেউ স্বান্তনা পায়, কেউ এগুলিতে আশ্রয় নেয় চারপাশে ঘটতে থাকা জিনিশের দ্রুত ব্যাখ্যার জন্য, যাতে ভালো লাগে এই ভেবে যে, সে বুঝতে পেরেছে কেন এসব হচ্ছে।
পরিবেশ বিপর্জয়ের জন্য সাইন্স দায়ী এমন আহাম্মকী কথা বাদ দিলেও, যদি ধরে নেই কেউ বলছে প্রযুক্তি দায়ী পরিবেশ দূষণের জন্য এবং মানুষের ক্ষতির জন্য, এবং এভাবেই মানুষ দুনিয়া ধ্বংস করবে, যে দুনিয়া আগে ছিল সবুজ শ্যামল, জসীম উদ্দিনের গ্রাম বাংলা, তাহলেও গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা থাকে।
প্রযুক্তির অনেক অপরিকল্পিত ব্যবহার, বিগ মানির মূণাফাকেন্দ্রিক তৎপরতা অনেক দূষণের জন্য দায়ী, ক্ষতির জন্য দায়ী, এগুলি মেনে নিয়েও বলা যায়, ওই অবস্থান "সবুজ শ্যামল দুনিয়া ছিল, ওইটা থাকলেই দূর্বিপাকের আশংকা ছিল না" এটা ভুল। পৃথিবী নামক গ্রহে নানা সময়ে প্রকৃতি উদ্ভট ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। যখন মানুষ ছিল না তখনো। এবং এইরকম ঘটনার সম্ভাব্যতা এখনো "শূন্য" নয়।
যেমন ৬০০০ বছর আগে সাহারা মরুভূমি সবুজ ছিল, আজ মরুভূমি। ঐ সময় কি বিজ্ঞান বা প্রযুক্তি দিয়ে মানুষ দূষণ করেছিল?
পরিবেষ দূষণ অবশ্যই একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্ট, কিন্তু এটারে একমাত্র ভিলেন হিসেবে দেখা, বিজ্ঞান প্রযুক্তিরে ভিলেন হিসেবে দেখা, তথা মানুষরেই ভিলেন হিসেবে দেখা হচ্ছে অরিজিনাল সিনের ধারণার মত। মানুষ আসছে দুনিয়ায়, পাপ করে আসছে, পাপ করে যাচ্ছে, ফলে পাপের শাস্তি সে পাবে, দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে তাদেরই পাপে।
কিন্তু কথা হল, মানুষ আসার আগেও দুনিয়া ওলট পালট হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে।
এই যে কভিড ক্রাইসিস, মানুষ আমলে নেয় নি এরকম হতে পারে এসব কথাবার্তা, যখন অনেক আগে থেকে অনেক বিজ্ঞ মানুষেরা বলে আসছিলেন। এর সম্ভাব্যতা কম ছিল, কিন্তু হয়েছে। একইভাবে ব্ল্যাক ডেথ, স্প্যানিশ ফ্লু এগুলিও হয়েছিল। উল্কাপিণ্ড পৃথিবীকে আঘাত করতে পারে, সুপার ভলকানোর অগ্নুৎপাতে অবস্থা মারাত্মক হয়ে যেতে পারে, হাই ফ্রিকোয়েন্সি ভূমিকম্পে দুনিয়া পুরা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, সোলার ঝড়ে (সূর্য থেকে হাই এনার্জি রেডিয়েশন, কারিংটন ইভেন্ট ১৮৫৯) যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়তে পারে, এবং হঠাত করে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে দিন দুনিয়া বদলে যেতে পারে। এইসব শূন্য সম্ভাব্যতার না, এবং ইতিহাসে এদের সবগুলাই নানা সময়ে ঘটেছে। এদের বলে ফ্যাট টেইল ইভেন্টস।
অনুমান করা হয়েছে, ১০০০০ বারে একবার ২ কিলোমিটার সাইজের এক উল্কাপিণ্ড দুনিয়াতে আঘাত করতে পারে, আগামী ১০০ বছরে। ন্যাচার ম্যাগাজিনে এই প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়, ১৯৯৪ সালে। এইরকম এক আঘাতে পৃথিবীর প্রচুর মানুষ মারা যাবে। এটা বন্যায় বা প্লেন ক্র্যাশে এই সময়ের মধ্যে যত মানুষ মারা যাবে অনুমান, তার চাইতে বেশি। অর্থাৎ ঘটার সম্ভাব্যতা অনেক কম হলে ঘটলে প্রভাব অনেক বেশি হবে।
ঘটনা আরো ইন্টারেস্টিং হয়, যদি আরও বড় উল্কা আঘাত করে। যেমন ১০ কিলোমিটার সাইজের। এরকম এক উল্কা ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীকে আঘাত করেছিল, আর তখন এতদঞ্চলের ৯৯.৯৯৯৯% জীবিত প্রাণ মারা যায়, এবং ৭৫ প্রজাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। কার্বন সাইকেল বন্ধ হয়ে যায়।
প্রতি বছরে এরকম উল্কা আঘাতের সম্ভাব্যতা শূন্য নয়, একশো মিলিয়নে এক। কিন্তু এর প্রভাব মারাত্মক। এই ধরণের ঘটনা, সম্ভাব্যতার ভাষায় ফ্যাট টেইল।
আনসার্টেইনটি ও ফ্যাট টেইল রিস্ক সম্পর্কে ধারণা থাকলে আপনি বুঝতে পারেন যে, জসীম উদ্দিনের গ্রাম বাংলায় থাকলেও প্রকৃতির খাম খেয়াল থেকে নিষ্কৃতি মিলবে না কারো।
এই প্রসঙ্গটা এই কারণে না যে পরিবেশ দূষণ নিয়ে মানুষ সচেতন হবে না। হবে, কারণ "একদিন তো মরেই যাব" এখানে পয়েন্ট না, সম্ভাব্যতার হিসাবে এক্সট্রিম ফলাফলযুক্ত ইভেন্টের সম্ভাব্যতা অনেক কম। প্রসঙ্গটা এই কারণে যে, এই জিনিশের অস্তিত্ব আছে এটা বলা, এবং দুনিয়া বহুবার এমনিতেই ভয়ানক ভাবে মারা খাইছে, কোন দোষ করা ছাড়াই, সেই সত্য তুলে ধরা। এবং বুদ্ধিমানদের একটা চিন্তার টুল সরবরাহ করা, আনসার্টেইনটি ও রিস্ক বিষয়ক চিন্তার ক্ষেত্রে।
—
মাঙ্গারিজম
চার্লি মাঙ্গার এই গল্প বলেন, মিনেসোটার লিচ লেকে মাস্কি শিকারের।
মাস্কি এক ধরণের মাছ।
এক মাছ শিকারি ব্যক্তি ঐ লেকে বেড়াতে গেছেন। তিনি স্থানীয় গাইডকে জিজ্ঞেস করলেন, এই লেকে কি মাস্কি আছে?
গাইড বলল, আছে মানে, প্রচুর আছে। এই লেক তো মাস্কিদের জন্য বিখ্যাত। এখানে যত মাস্কি আছে, মিনেসোটার আর কোথাও এত নেই।
ভদ্রলোক জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কতদিন ধরে মাছ শিকার করেন?
গাইড বলল, উনিশ বছর।
ভদ্রলোক জিজ্ঞেস করলেন, তা এই উনিশ বছরে কতটি মাস্কি ধরেছেন?
গাইড জানাল, এখনো ধরতে পারে নি।
এই গল্পের উইজডমটা, প্রায় সবাই জানেন এটা, কোন ব্যক্তি যদি বড় কোন লাভ বা এরকম কোন কথা বলে, তাহলে জেনে নেয়া উচিত সে কী তা করেছে। অন্যের ডিল্যুশন নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, যেমন ইনভেস্টিং এর ক্ষেত্রে।