যেসব মানুষ এক্সট্রিম পলিটিক্যাল ভিউ ধারণ করে অথোরিটারিয়ানিজম বা সর্বময় কর্তৃত্ববাদ সমর্থন করে, তারা ডান বা বাম যাই হোক না কেন, এদের সাইকোলজিক্যাল চরিত্র একইরকম। তারা যেন আয়নায় একে অন্যের প্রতিচ্ছবি। ডানপন্থীরা দেখা যায় শাসকের পক্ষে ভায়োলেন্স সমর্থন করে, বামপন্থী অথোরিটারিয়ানিজমের সমর্থকেরা সমর্থন করে শাসকের বিপক্ষে রাজনৈতিক সহিংসতা। এর আগে কর্তৃত্ববাদীদের নিয়ে রিসার্চে কেবল ডানপন্থী ও ফ্যাসিস্টদের বিবেচনায় নেয়া হয়েছিল। বামপন্থীদের নেয়া হয় নি। এজন্য এমন একটি ভুল ধারণা প্রচলিত হয়েছে যে, করতৃত্ববাদ জিনিশটা একটা ডান ব্যাপার। আসলে তা নয়, মানুষ আগে সাইকোলজিক্যাল বৈশিষ্ট্যে কর্তৃত্ববাদী হয়, এরপর ডান বা বাম হয়। বা রাজনৈতিক মতটা সরিয়ে নিলে, তাদের কর্তৃত্ববাদী আচরণ বিবেচনা করলে, উভয়েই এক।
- The Journal of Personality and Social Psychology published the research by psychologists at Emory University—the first comprehensive look at left-wing authoritarianism.
—
পুলিশের এসপি তখন ইদ্রিস। আমার মনে আছে, গেটের সামনে ছাত্ররা পুলিশকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করছে। আমি গেটের সামনে গেছি। ইদ্রিসকে দেখলাম গেটের বাইরে। ইদ্রিস ওয়াজ ওয়ান অব মাই আরলি স্টুডেন্টস। আমি তাকে চিনি। আমি একবার গেটের বাইরে গেলাম। দেখলাম, ইদ্রিস খুব এক্সাইটেড হয়ে ছাত্রদের বলছেঃ আপনারা যদি এরকম করেন, আমি গুলি করার অর্ডার দেব।
এই কথা শুনে আই ওয়াজ এক্সট্রিমলি শকড। আমি ইদ্রিসকে ডেকে বললামঃ আপনি কি কইলেন?
ইদ্রিস আমাকে দেখে ঘাবড়ে গেল। আমতা আমতা করে বললঃ কি বলেছি স্যার?
আমি বললামঃ আমি শুনেছি আপনি বলেছেন, গুলি করার অর্ডার দিবেন!
তখন সে নরম হয়ে বললঃ আই ডিড নট মিন ইট স্যার।
আমি বললামঃ আপনার ফৌজ আছে সামনে। আপনি এস পি কিংবা এডিশনাল এসপি। আপনি যে এরকম বলতে পারেন আমি ভাবতে পারি নাই। ডোন্ট ইউ আন্ডারস্ট্যান্ড, আপনার এই বলার এফেক্ট কি হতে পারে?
সেদিন আড়াইটার দিকে ছাত্রদের উপর গুলি করা হয়।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ঘটনা, প্রফেসর আবদুর রাজ্জাকের বয়ানে সরদার ফজলুল করিমের নেয়া স্বাক্ষাতকার থেকে।
"Nothing so undermines your financial judgment as the sight of your neighbor getting rich."
- JP Morgan
আফগান প্রবাদ। লিংক।
কোন দেশ বেশি রপ্তানী করে তার ভিজুয়াল প্রেজেন্টেশন। খেয়াল করবেন ১৯৯৫ সালের আগে চীন দৃশ্যপটেই ছিল না। লিংক।
এক্সারসাইজের বেসিক, ট্রেইনার ও নিউট্রিশনিস্ট নেট মিয়াকির লেখায়। এই বেসিক ও সহজ জিনিশগুলি অনুসরণ করলেই চলে।
--
আর্ট ওয়ার্ক - Dream of Solomon
এই ছবির নাম সুলেমানের স্বপ্ন বা দ্য ড্রিম অব সলোমন।
কিং সলোমন তখন সবে সিংহাসনে বসেছেন। কোন জায়গায় তিনি টেম্পল বানাবেন ঈশ্বরের উপাসনার জন্য তা বুঝতে পারছিলেন না।
এই চিন্তা নিয়ে একদিন তিনি ঘুমালেন।
স্বপ্নে তিনি পরমেশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলেন, তোমার এই দাসানুদাসরে প্রভু, সেই ক্ষমতা যাও, যাতে আমি তোমার মানুষদের বুঝতে পারি, যাতে আমি ভালো ও মন্দ কী তা বুঝতে পারি, ভালো মন্দের পার্থক্য করতে পারি, তোমার নির্বাচিত এইসব মানুষদের পরিচালনা করতে পারি।
ঈশ্বর এই প্রার্থনায় খুশি হলেন। কারণ সুলাইমান নিজের জন্য দীর্ঘ জীবন, ক্ষমতা ও সম্পদ চান নি।
ঈশ্বর বললেন, আমি তোমারে প্রজ্ঞা দিলাম। বিচারের ক্ষমতা দিলাম। প্রজ্ঞায় তোমার সমান আগেও কেউ ছিল না, ভবিষ্যতেও কেউ থাকবে না। এবং যা তুমি চাও নাই, সম্মান ও প্রতিপত্তি, সেটাও তোমারে দিলাম। তোমার কালে তোমার সমকক্ষ কোন রাজা থাকবে না। তোমার পিতা ডেভিডের মত তুমি যদি আমার পথে চলো, তাহলে তোমার জীবন আমি দীর্ঘায়িত করব। যুগে যুগে মানুষ তোমার প্রজ্ঞা ও প্রতিপত্তির গল্প করবে।
লুকা জিওর্দানো এই ছবিটি আঁকেন তার ৬০ তম জন্মদিনের কাছাকাছি সময়ে, ১৬৯৩। সুলাইমানের উপরে রোমান প্রজ্ঞার দেবী মিনার্ভাকে আঁকা হয়েছে। তার পাশে ভেড়া এবং একটা বই আছে, এর মাধ্যমে যিশু ও বাইবেলের আগমন বুঝানো হয়েছে।
ছবিটির মূল থিম ওল্ড টেস্টামেন্টের। খ্রিস্ট পূর্ব/প্যাগান উপাদান আছে। আবার খ্রিস্টীয় রূপক আছে।
এখন জিনিশটারে একটু কম্পলিকেট করি। কিং সলোমন যুবক রাজা হইয়া যখন গডের কাছে চাইলেন, গড যেন তারে প্রজ্ঞা দেয়, ভালো মন্দ আলাদা করার ক্ষমতা দেয়, এই চাওয়াটাই তো প্রজ্ঞাবানের চাওয়া।
যদি সলোমন প্রজ্ঞাবান না হইতেন তাইলে তো তিনি অন্য রাজাদের মত ধনসম্পত্তি বা অমরত্ব চাইতেন। রাজাদের অমরত্বের আকাঙ্ক্ষা বিখ্যাত।
কিন্তু সলোমন এমন জিনিশ চাইলেন, যেটা পাইলে ধন সম্পদ বা খ্যাতির মাধ্যমে বেঁচে থাকা সকলই সম্ভব হয়।
আবার, প্রজ্ঞাবান সলোমনের এটাও বুঝার কথা যে, কী চাইলে গড খুশি হবেন।
সুতরাং, স্বপ্নে পরে গড সলোমনরে যে প্রজ্ঞা দিলেন, তার আগে থেকেই সলোমন প্রজ্ঞাবান।
তবে সেইটাও পকারান্তে গডেরই দান।
তখন আবার আরেক প্রশ্ন আসে, তাইলে এই স্বপ্ন আসল কেন? এই গেইম কেন খেললেন গড?
হয়ত এইটাই সকল কিছুর ট্রুথ, যে এইটা তো আসলে বাইরের খেলা, আসল বিষয় আগেই ঠিক হইয়া আছে। যেভাবে হেক্টর ও একিলিসের ফাইটের সময় হেক্টরের মৃত্যু আগেই অলিম্পাসের গডেরা ঠিক করে রাখছিলেন।
ওরসন ওয়েলেস বলছেন চার্চিল নিয়ে তার স্মৃতির কথা। লিংক।
—-
--
থিওসফিস্ট মোহিনী চ্যাটার্জির জীবনের কিছু অংশ ও আধ্যাত্মিক চিন্তা নিয়ে।
—-
Q. You are most frequently termed "philosopher" but also "historian", "structuralist", and "Marxist". The title of your chair at the College de France is "Professor of the History of Systems of Thought". What does this mean?
A. I don't feel that it is necessary to know exactly what I am. The main interest in life and work is to become someone else that you were not in the beginning. If you knew when you began a book what you would say at the end, do you think that you would have the courage to write it? What is true for writing and for a love relationship is true also for life. The game is worthwhile insofar as we don't know what will be the end. My field is the history of thought. Man is a thinking being. The way he thinks is related to society, politics, economics, and history and is also related to very general and universal categories and formal structures. But thought is something other than societal relations. The way people really think is not adequately analyzed by the universal categories of logic. Between social history and formal analyses of thought there is a path, a lane - maybe very narrow - which is the path of the historian of thought.
Q. In The History of Sexuality, you refer to the person who "upsets established laws and somehow anticipates the coming freedom." Do you see your own work in this light?
A. No. For rather a long period, people have asked me to tell them what will happen and to give them a program for the future. We know very well that, even with the best intentions, those programs become a tool, an instrument of oppression. Rousseau, a lover of freedom, was used in the French Revolution to build up a model of social oppression. Marx would be horrified by Stalinism and Leninism. My role - and that is too emphatic a word - is to show people that they are much freer than they feel, that people accept as truth, as evidence, some themes which have been built up at a certain moment during history, and that this so-called evidence can be criticized and destroyed. To change something in the minds of people - that's the role of an intellectual.
Truth, Power, Self: An Interview with Michel Foucault - October 25th, 1982. Link.
মার্টিন হাইডেগ্যার এখানে কার্ল মার্ক্সের বলা বিখ্যাত "ফিলোসফাররা দুনিয়া ব্যাখ্যাই করে গেছেন, কিন্তু বিষয় হলো, এটি পরিবর্তন করা" এর সমালোচনা করেছেন। তিনি বললেন, মার্ক্স ধরে নিয়েছেন দুনিয়া বিষয়ে তার অনুমানই নিশ্চিত, এবং এই ধরে নেয়া থেকেই তিনি তার পরিবর্তন করা বা করতে হবে দাবী করছেন। হাইডেগ্যারের ব্যাখ্যায়, দুনিয়ার চেইঞ্জ হলো, দুনিয়ার ধারণায় চেইঞ্জ, এবং এটি নির্ভর করে একজন দুনিয়াকে কীভাবে ইন্টারপ্রেট করছে তার উপরে। অর্থাৎ, মেটাফিজিক্যাল দিক থেকে হাইডেগ্যার মার্ক্সের এই কথাটির দূর্বলতা দেখিয়েছেন।
ফটোগ্রাফার ও লেখক সুদীপ্ত সালামের করা, ফটোগ্রাফি বিষয়ক বাংলা বইয়ের তালিকা -
ফটোগ্রাফিবিষয়ক কিছু বাংলা বই
১) ড্যাডিসমগ্র (প্রবন্ধ) - গোলাম কাসেম ড্যাডি - সাহাদাত পারভেজ সম্পাদিত
২) আধুনিক ফটোগ্রাফি - মনজুর আলম বেগ
৩) পূর্ব বাংলার ফটোগ্রাফি - নাসির আলী মামুন
৪) ফটোগ্রাফি : কলাকৌশল ও মনন - রফিকুল ইসলাম
৫) দি বেসিকস অব ফটোগ্রাফি - রফিকুল ইসলাম
৬) ছবি : আলোর ভাষা - আজিজুর রহীম পিউ
৭) ছবি তোলা : বাঙালির ফোটোগ্রাফি-চর্চা - সিদ্ধার্থ ঘোষ
৮) সাংবাদিকতা আমার ক্যামেরায় - পাভেল রহমান
৯) সাংবাদিকতায় আমার সুখস্মৃতি - পাভেল রহমান
১০) প্রীত রেজার মুখোমুখি - প্রীত রেজা
১১) প্রীত রেজার স্মার্টফোন ফটোগ্রাফি - প্রীত রেজা
১২) আয়না কথা : আবীর আবদুল্লাহ - সুমন ইউসুফ
১৩) কাউন্টার ফটো - সাইফুল হক অমি সম্পাদিত
১৪) অন ফটোগ্রাফি - সুজান সনটাগ (অনুবাদ)
১৫) তাঁর আলো তাঁর ছায়া - মুনেম ওয়াসিফ
১৬) কামরা (প্রথম খণ্ড) - তানজিম ওহাব ও মোনেম ওয়াসিফ সম্পাদিত
১৭) কামরা (দ্বিতীয় খণ্ড) - তানজিম ওহাব ও মোনেম ওয়াসিফ সম্পাদিত
১৮) ক্যামেরা লুসিডা - রোলাঁ বার্থ (অনুবাদ)
১৯) রিগার্ডিং দ্য পেইন অব আদার্স - সুজান সনটাগ (অনুবাদ)
২০) ফটোগ্রাফি ডিকশনারি - সুদীপ্ত সালাম
২১) ক্যামেরার মন - সুদীপ্ত সালাম
২২) ফটোসাংবাদিকের নোটবুক - সুদীপ্ত সালাম
২৩) আলোকচিত্র আলোকচিত্রের মানুষ - সুদীপ্ত সালাম সম্পাদিত
২৪) আলো ছায়ার নাসির আলী মামুন - সুদীপ্ত সালাম
২৫) ফটোক্তি - সুদীপ্ত সালাম
২৬) ফটোগ্রাফি - সুদীপ্ত সালাম
২৭) আলোকচিত্রাচার্য মনজুর আলম বেগ - জাহাঙ্গীর সেলিম
২৮) আলোকচিত্রের ভাষা ও পাঠ - মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক সম্পাদিত
২৯) মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র অবিনাশী দলিল - মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক সম্পাদিত
৩০) আলোকচিত্রপুর - সুদীপ্ত সালাম
৩১) আলোকচিত্রের প্রারম্ভ - শাহরিয়ার খান শিহাব
তার মূল ফেসবুক স্ট্যাটাস।