Personality traits of a successful trader. Link.
মাস্ক পরা কেন জরুরী। লিংক।
Problem Solvers Caucus, link.
মুজতবা আলির শেষ দিনগুলি। লিংক। বইয়ের চ্যাপ্টার।
বই ক্রাউড সাইকোলজি নিয়ে >>
The_Crowd:_A_Study_of_the_Popular_Mind
Extraordinary_Popular_Delusions_and_the_Madness_of_Crowds
—-
ভারতের অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ এর প্রভাব, লিংক।
অস্ট্রেলিয়া কভিড-১৯ এর প্রভাবে রিসেশনে, লিংক।
অদ্যরে ত্রুস্কে আওরঙ্গজেব বিষয়ে, লিংক।
মিসোজিনিস্ট কবি চার্লস বুকোস্কি একটা মেয়েকে লাইভ ইন্টার্ভিউতে লাথি মারছেন। লিংক।
এপলের ফিউচার কী হতে পারে। ইন্টার্ভিউ। লিংক।
দুইজন গুরুত্বপূর্ন ইনভেস্টমেন্ট থিংকার, প্যাত্রিক শগনেসি, আর মিখায়েল মাওবাসিনের আলাপ। লিংক।
কাস্ট সিস্টেমঃ
সাধারণত মনে হয় জাত প্রথায় জাত চারটা। ব্রাহ্মণ, শত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র। কিন্তু প্রকৃত অর্থে প্রায় ৫ হাজারের উপরে জাত আছে ভারতে, আর ২৫০০০ সাব-কাস্ট।
এই জাতপ্রথা সম্পর্কে মনে করা হয়, ব্রিটিশদের আসার পরে বা আধুনিক সময়ে এগুলি মনে হয় কমেছে। কিন্তু কমে নি, রূপ বদলেছে কখনো কখনো কেবল।
ভারতে ৪০০ মিলিয়ন মানুষ দলিত। যাদের আপার কাস্ট অচ্ছুৎ মনে করে।
আমেরিকায় ভারতীয় ইমিগ্র্যান্টদের ৯০ ভাগ আপার কাস্ট।
এরা সব ক্ষেত্রে দলিতদের নানাভাবে অপমান অপদস্থ করে। যেমন হচ্ছে আমেরিকান টেক অয়ার্ল্ডে।
টেকে বেশিরভাগ ভারতীয়রা উঁচা জাতের। দলিতদের মধ্য থেকে কেউ এখানে চলে আসলে তারে এদের হাতে অপদস্থ হতে হয়। যেমন, এক টেক ফার্মে একজন মহিলা ছিল এমন কাস্টের, যারা মানুষের গু পরিষ্কার করতেন। তো, ঐ টেক ফার্মের ভারতীয়রা খাবার পরে তাদের ঐ সহকর্মীরে বলতো পরিষ্কার করতে। বড় বড় প্রতিষ্ঠান থেকে পড়া এসব ভারতীয় উঁচা জাতের শিক্ষিতরা দলিত টিম মেট নিয়া হাসে, বলে ও তো দলিত কোটায় চান্স পাইছিল আই আই টিতে। আইজোলেট করে রাখে, প্রমোশন আটকায়। উঁচা জাত উঁচা জাত এক হইয়া তাদের এই প্রাচীন যুদ্ধ মানুষের বিরুদ্ধে। এর ধারাবাহিকতা বয়ে নিয়ে যায়।
এ নিয়ে একটা লিংক।
এ সংখ্যার সম্মানঃ
অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি, ইতিহাসবিদ, জ্ঞানী। লিংক।
শিল্প ও সাহিত্যঃ
বুধবার রাতে, সাইয়িদ আতীকুল্লাহ।
সালভাদর ডালি ইন্টার্ভিউ। লিংক।
খুব কাজের সাইট। কোন ফিল্ম অন্য কোন ফিল্ম দ্বারা অনুপ্রাণিত, বা তার দ্বারা অনুপ্রাণিত কোন কোন ফিল্ম আছে তা এই টুল দ্বারা বের করা যায়। এতে একইরকম ফিল্ম দেখার জন্য যেমন বের করা যায়, তেমনি রিসার্চের কাজে সাহায্যকারী হিসেবে অনন্য ভূমিকা পালন করতে পারে এটি।
বাহাই ধর্ম এবং তাদের নবী বা'বকে নিয়ে ডকুমেন্টারি ফিল্ম। লিংক।
মির্জা গালিবের প্রেমের কবিতার বই, এবং সেটির কিছুর নির্বাচিত কাব্য।
অন্যান্যঃ
পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গার জঙ্গলের সাউন্ড শোনা যাবে এই সাইট থেকে।
অনলাইনে ক্লাস নেয়ার জন্য একটি ভালো টুল।
আমার সাইটে নতুন লেখা, বই পড়া নিয়ে। লিংক।
বই নোটঃ
১/ দি নেক্সট ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ারস - জর্জ ফ্রিডম্যান
২০০৮ সালে প্রকাশিত ভু-রাজনীতির বই।
ফ্রিডম্যান অনুমান করছেন আমেরিকা সুপার পাওয়ার হিসেবে বিদ্যমান থাকবে। ইউরোপ তার পূর্বেকার ডমিনেন্স ফিরে পাবে না। চীনের উন্নতি শ্লথ হবে। চীনের ভেতরকার দ্বন্দ্ব তীব্র হবে, এবং চীন হয়ত একদেশ হিসেবে টিকে থাকবে না। ফ্রিডম্যানের অনুমান ২০৮০ সালের দিকে আমেরিকার পাওয়ার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে, এবং সেই চ্যালেঞ্জ শক্তভাবে আসবে মেক্সিকোর কাছ থেকে।
এইসব অনুমানের বাইরে ভু-রাজনীতি ও ভবিষ্যৎ অনুমান বিষয়ে একটা ইনসাইট এই বই থেকে,
ভবিষ্যৎ জিওপলিটিক্যাল অবস্থা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক তথা দুনিয়ার ক্ষমতাচিত্র অনুমান করতে গুরুত্ব দিতে হবে কোন দেশের ভূপ্রকৃতি, তার প্রাকৃতিক সম্পদকে। এগুলির মধ্যে আছে খনিজ সম্পদ, পাহাড় পর্বত, প্রতিবেশী দেশগুলা কেমন, তাদের ধর্ম কী, রাজনৈতিক মতাদর্শ কী। ও শত্রু আছে কি না। এর সাথে অর্থনৈতিক অবস্থা, মানুষের প্রকৃতির উপর এর প্রভাব এবং প্রযুক্তিগত ইনভেশনকে মেলালে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নির্দিষ্ট অনুমান করা সম্ভব।
২/ অন চায়না - হেনরি কিসিঞ্জার
গুরুত্বপূর্ণ একটা বই।
কিসিঞ্জার চীনের ইতিহাসের আলোকে তাদের সাইকোলজিক্যাল চরিত্র সম্পর্কে লিখেছেন। চীনের একটা দীর্ঘ ইতিহাস আছে। ইতিহাসের রেকর্ড অনুযায়ী খ্রিস্ট পূর্ব তৃতীয় শতক থেকে চীন একত্রিত হয়েছিল। তাদের বর্তমান ভাষা প্রায় ২০০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দের। এবং ইতিহাসের বেশীরভাগ সময়ে চীন ছিল সম্পদশালী ও ক্ষমতাবান।
ভাষার প্রাচীন ইতিহাস তাদের ইতিহাসের চরিত্রদের সাথে যুক্ত করেছে, এবং সেই সংস্কৃতি ও সাহিত্য তাদের আত্মপরিচয়কে করে তুলেছে শক্ত।
কূটনীতিতে চীন দীর্ঘমেয়াদি লাভের পথ বেছে নেয় ঐতিহাসিক কারণেই। কারণ তাদের দুনিয়াকে দেখার ভঙ্গি হাজার বছর আগের সভ্যতার সাথে যুক্ত, ফলে দুনিয়া দুইদিনের মনে করে তারা স্বল্পমেয়াদী পদক্ষেপ নেয় না।
চীন এগ্রেসিভ না, ট্যাকটিক্যাল। সান জু আর্ট অব ওয়ারে সাইকোলজিক্যাল ওয়ার, এবং যুদ্ধ না করে বিজয়ের পরামর্শ দিয়েছেন। চেয়ারম্যান মাও সে পদ্বতি অনুসরণও করে গেছেন।
চীনের প্রাচীন খেলা উই কি থেকে তাদের স্ট্র্যাটেজিক চরিত্র বুঝা যায়। এই খেলায় রিলেটিভ এডভান্টেজের মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করতে হয়। অন্যদিকে পশ্চিমের জনপ্রিয় খেলা দাবায় প্রতিপক্ষকে পরাস্থ করতে হয় একেবারে বিনাশ করে।
কিসিঞ্জার পরামর্শ দিয়েছেন আমেরিকা যেন চীনের সাথে শীতল যুদ্ধে না জড়ায়। তার যুক্তি, অদক্ষ শ্রমিকদের মাধ্যমে চীনের অর্থনৈতিক উত্থান হয়েছিল, এখন বেশি দক্ষ, অবস্থাপন্ন। ২০৫০ সালের মধ্যে চীনের অর্ধেকের বেশি লোকের বয়স হবে ৪৫ বছর। এই বিশাল বয়স্ক জনসংখ্যা নিয়ে চীন দখলমূলক মিলিটারি স্ট্র্যাটেজিতে যেতে পারবে না।
কিসিঞ্জার প্যাসিফিক অঞ্চলে চীন, আমেরিকা এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলি মিলে সম্মিলিত শক্তি হিসেবে অবস্থানের পরামর্শ দিয়েছেন, নিজেদের কমন পলিটিক্যাল গোল সামনে রেখে। দুনিয়ার স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য চীন ও আমেরিকার চল্লিশ বছরের পুরানো বন্ধুত্বের পথ মসৃণ হলে ভালো, মনে করেন কিসিঞ্জার।