বাক স্বাধীনতা কী
বাক স্বাধীনতা বলতে যে সশ্যাল-পলিটিক্যাল দর্শনের বস্তু আছে, তার দ্বারা বুঝায় মুক্ত ভাবে অনেক চিন্তা প্রকাশের আইনগত অধিকার, যেখানে সরকার হস্তক্ষেপ করবে না।
কিন্তু এই অধিকার প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির ক্ষেত্রে নয়, তারা বাক সীমিত করতে পারে। কারণ, বাক স্বাধীনতার অর্থ কথা না বলার অধিকারও।
এই কথা না বলার অধিকার প্রাইভেট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বাক স্বাধীনতা অধিকারের অংশ, তাই তারা বাক সীমিত করতে পারে।
অনেক মানুষ এই বেসিক জিনিশ বুঝে না। বাকস্বাধীনতা বলতে মনে করে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছেও তার এই অধিকার আছে। ফলে তারা আসলে মানুষের বাক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যায়।
ফ্রিডম অফ স্পিচের অধিকারের মধ্যে আছে, কারো কথা না শোনার অধিকার।
এবং এটি আনলিমিটেড অধিকার না। কারণ আনলিমিটেড হলে অন্যান্য অধিকারের সাথে সংঘর্ষ হবে। যেমন, কেউ বাক স্বাধীনতার নামে কারো নামে অন্যায় কুৎসা করতে পারবে না, বা কোন কমিউনিটির নামে ঘৃণা ছড়াতে পারবে না।
মূল কথা, ফ্রিডম অব স্পিচ সরকারের কাছে অধিকার। দুই ধাপে, এক যাতে সরকার মুক্তভাবে কথা বলার আগে কোন বাঁধা প্রদান করে, এবং দুই, যাতে কথা বলার পরে কোন শাস্তি না দিতে পারে।
উদ্দেশ্য, সরকারের সমালোচনার জায়গা রাখা, যাতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় থাকে। এবং ব্যক্তিস্বাধীনতাকে রক্ষা করা।
বিস্তারিত লিংক এখানে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে, বাংলাদেশের লোকজন ও ভারতীয় সেনাদের একটা রেয়ার ফুটেজ। লিংক।
লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির ৬৫% উৎপন্ন করে চীন। লিংক।
কোন দেশ কতোটুকু লিথিয়াম উৎপন্ন করে, কোন দেশে কত রিজার্ভ আছে। লিংক।
বাংলাদেশে রেয়ার আর্থ খনিজ আছে ইনানি বিচে। লিংক।
সলিড স্টেট ব্যাটারি কীভাবে কাজ করে। লিংক।
সামারায় সাক্ষাৎ
বাগদাদের এক লোক তার চাকরকে বাজারে পাঠালেন কিছু জিনিস কিনতে। চাকর বাজারে গিয়ে ভীত হয়ে ফিরে এলো। সে বলল, প্রভু, আমি যখন বাজারে গেলাম তখন এক মহিলা আমারে হালকা ধাক্কা দিয়ে গেল। আমি তার দিকে তাকিয়ে দেখি সে মৃত্যু, এবং রাগান্বিত ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমার ভয় হচ্ছে। আপনি আপনার ঘোড়াটি আমাকে দিয়ে দিন। আমি এখনই সামারায় চলে যাব।
লোকটি তার চাকরকে ঘোড়া দিয়ে দিল। ঘোড়া ছুটিয়ে চাকর চলে গেল সামারায়।
বিকেলে লোকটি বাজারে গেল। সে আমাকে দেখল। দেখে বলল, তুমি আজ সকালে আমার চাকরকে রাগান্বিত ভাবে তাকিয়ে ভয় দেখালে কেন?
আমি বললাম, আমি তো রাগী চেহারায় তাকাই নি, আমি অবাক হয়ে তাকিয়েছিলাম তাকে বাগদাদে দেখে। কারণ আজ রাতেই সামারায় তার সাথে আমার সাক্ষাৎ হবার কথা।
সামারায় সাক্ষাৎ, উইলিয়াম সমারসেট মম এই গল্প অনুবাদ করেছেন ইংরেজিতে। এটি ছিল মেসোপটেমিয়ান একটা গল্প।
পেলের জুতা, এডিডাস ও পুমার গল্প, লিংক।
বিটকয়েন বিষয়ে। লিংক।
হিতোপদেশ। লিংক।
জেনেটিক ইনফ্লুয়েন্সকে সাধারণভাবে ব্যাখ্যা করা ভুল। আমরা বলতে পারি না কোন নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণভাবে জেনেটিক্যালি কেউ পেয়েছে। কারণ জিনে থাকলেও, সমাজ পরিবেশ ও পরিস্থিতির প্রভাব থাকে। এবং সেই প্রভাব ইগনোর করার মত সামান্য নয়। যে জিন শেখা ও বুদ্ধিমত্তার জন্য দায়ী সেটি সরিয়ে নেয়ার পর দেখা গেল ইঁদুরেরা শিখতে পারছে না ভালো। ফলে সিদ্ধান্ত চলে আসল, জিনের প্রভাবই মূল ভূমিকা পালন করে। কিন্তু সাপোলস্কি জানাচ্ছেন, ওই সব ইঁদুরকেই অনুকূল পরিবেশে রাখলে তারা সেই জেনেটিক অভাব কাটিয়ে উঠতে পারে। লিংক।
--
আকবর শাহের মাতৃভক্তি অত্যন্ত প্রবল ছিল। এমন-কি, এক সময়ে যখন তাঁহার মা পালকি চড়িয়া লাহোর হইতে আগ্রায় যাইতেছিলেন, তখন আকবর এবং তাঁহার দেখাদেখি অন্যান্য বড়ো বড়ো ওমরাওগণ নিজের কাঁধে পালকি লইয়া তাঁহাকে নদী পার করিয়াছিলেন। সম্রাটের মা সম্রাটকে যাহা বলিতেন তিনি তাহাই পালন করিতেন। কেবল আকবর শা মায়ের একটি আজ্ঞা পালন করেন নাই। সম্রাটের মা সংবাদ পাইয়াছিলেন যে পর্টুগিজ নাবিকগণ একটি মুসলমান জাহাজ লুঠ করিয়া একখণ্ড কোরান গ্রন্থ পাইয়াছিল, তাহারা সেই গ্রন্থ একটি কুকুরের গলায় বাঁধিয়া বাজনা বাজাইয়া অর্মজ শহর প্রদক্ষিণ করিয়াছিল। এই সংবাদে ক্রুদ্ধ হইয়া সম্রাটমাতা আকবরকে অনুরোধ করিয়াছিলেন যে একখণ্ড বাইবেল গাধার গলায় বাঁধিয়া আগ্রা শহর ঘোরানো হউক। সম্রাট তাহার উত্তরে বলিয়াছিলেন-- "যে কার্য একদল পর্টুগালবাসীর পক্ষেই নিন্দনীয় সে কার্য একজন সম্রাটের পক্ষে অত্যন্ত গর্হিত সন্দেহ নাই। কোনো ধর্মের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করিলে ঈশ্বরের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করা হয়। অতএব আমি একখানা নিরীহ গ্রন্থের উপর দিয়া প্রতিশোধস্পৃহা চরিতার্থ করিতে পারিব না।'
- আকবর শাহের উদারতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
—
নয় শতকের সুইডিশ লিজেন্ডারী কিং জর্ন আয়রনসাইড (Björn Ironside) ঠিক করলেন পবিত্র নগরী রোম ধ্বংস করবেন। তিনি অভিযানে বের হলেন, ৬২ টা জাহাজ ভাসালেন সাগরে।
তারা যখন শহরে পৌছলেন শহরবাসীরা তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলল। ভাইকিংরাও দখলের চেষ্টা করতে লাগলো প্রাণপণে।
কিন্তু কিছুতেই শহরে ঢুকা যাচ্ছে না। রাজা এক ফন্দি বের করলেন। তিনি বললেন, তার খ্রিস্টান ধার্মিক ভাই মারা যাবে, মৃত্যুশয্যায়। খ্রিস্টান হিসেবে সে পবিত্র শহরের ভিতরে মরতে চায়।
শহরের বিশপেরা একজন খ্রিস্টান ধার্মিকের এই ইচ্ছা রাখতে চাইলেন। তারা তাকে ভেতরে আসার অনুমতি দিলেন।
কফিন গেল ভেতরে। আর কফিন ভেঙ্গে বেরিয়ে এলেন রাজা জর্ন। তার সেনারা ঢুকল। তুমুল যুদ্ধ হলো। শহর ধ্বংসপ্রাপ্ত।
রাজা জর্ন দম্ভভরে ঘোষনা দিলেন, এখন এই পবিত্র নগরী রোমের শাসক আমি।
বিহবল নগরবাসী ভীত এবং অবাক। ভয়ে ভয়ে একজন নাগরিক উঠে দাঁড়িয়ে বলল, কিন্তু এটি তো শহর রোম নয়, লুনা। রোম আরো দক্ষিণে।
ক্ষমতার দম্ভে জর্ন ভুল শহর আক্রমণ করে বসেছিলেন।
—
পাইরেসির গোল্ডেন এইজে, যেসব কুখ্যাত পাইরেটরা ছিল, তাদের নামে অনেক ভয়ংকর কাহিনী প্রচলিত ছিল। অনেক কাহিনী তারা নিজেরাই প্রচার করত। আবার, দখলকৃত জাহাজে নৃশংসতা দেখানোর সময় তারা ইচ্ছা করেই বেশী নৃশংসতা দেখাত। যাতে এই ভয় ছড়িয়ে যায়। এবং পরবর্তীতে অন্য কোন জাহাজ তাদের প্রতিরোধে না গিয়ে আত্মসমর্পণ করে। কারণ যুদ্ধ তাদের জন্যও ছিল ক্ষতির বিষয়, ঝুঁকির বিষয়। এভাবেও বলা যায়, একটা আইরনি আছে এখানে। তারা নৃশংস হতো, যাতে পরবর্তীতে নৃশংস হতে না হয় এজন্য।
চেঙ্গিস খানের যুদ্ধ জয়ের একটা বড় কারণ ছিল ভয় ছড়ানো। সাইকোলজিক্যাল ওয়ারফেয়ারের অংশ। যুদ্ধের আগে তারা গ্রামের দিকে লোক মারফত তাদের নৃশংসতার খবর ফলাও করে প্রচার করত। এতে ভয় পেতে আত্মসমর্পণ করত অনেকে। এদের প্রতি মানবিক ছিল চেঙ্গিস খানের লোকেরা। এভাবেই চীনের আধুনিক প্রযুক্তি তারা পায়। চীনের একজন বিজ্ঞানী আগেই ভয় পেয়ে আত্মসমর্পণ করেছিল, তার কাছ থেকে। চেঙ্গিস খানের ভয় দেখানো টেকনিক এত মারাত্মক ছিল যে, চীন যখন বেইজিং এ একদল ভাড়াটে সৈন্য পাঠাল এরা যুদ্ধ করার বদলে চেঙ্গিস খানের দলে যোগ দেয়। এটা অংশত ছিল ভয়ে।
—
Disciple: What did you say about creative poetry?
Sri Aurobindo: Poetry is creative where it gives a complete picture of life as in The Hound of Heaven. There you have such a picture of the life of a man pursued by God.
THE HOUND OF HEAVEN, Francis Thompson LINK TEXT, LINK RECITATION.
—
একটা পাতলা স্টোয়িসিজম আছে, যেটা সিলিকন ভ্যালির কিছু মুনাফামাতাল লোকের আবিষ্কার।
এটা স্টোয়িসিজমের একটা ভুল ব্যাখ্যা দেয়। পাতলা ব্যাখ্যা দেয়, যে সব কিছু মেনে নেয়াই স্টোয়িসিজম। মানে, আপনি একটা ফালতু জিনিস দেখলে, তখন ভাবলেন অইটা আমার জিনিস নয়, আমার নিয়ন্ত্রণে নয়, অতএব এ নিয়ে কথা বলব না আমি। হু, আমি স্টোয়িক।
কিন্তু স্টোয়িসিজম কি কখনো এমন ছিল? এত চীপ ভোগবাদী? ডায়োজিনিস, ক্র্যাটিসের প্রভাবে আসা, জেনো এপিকটেটাস মার্কাস ঔরেলিয়াস, সেনেকা, ক্যাটোদের কাছে পরিণত হওয়া, আর মিশেল ডি মন্টেইনের কাছে নতুন ভাবে ফিরে আসা স্টোয়িসিজম কি এটাই?
না, এই স্বার্থপর, ভোগবাদী, নির্বিবাদী কাপুরুষ্য চিন্তার জন্য এতো জ্ঞানীর দরকারই হতো না।
তারা যে দর্শনের কথা বলেছেন, ঐটাতে মেইন হইল ভার্চ্যু। এথিকসের জায়গা, সেই এথিকস লাইফের সর্বক্ষেত্রে বিরাজমান। স্টোয়িকদের কাছে সবচাইতে সেরা ভার্চ্যু কারেজ। বিস্তৃত পরিসরে তারা আলোচনা করেছেন ফিলোসফিক্যাল নানা বিষয় নিয়ে (লিংক)। এবং বড় স্টয়িক দার্শনিকদের প্রায় সবাই ছিলেন ডোয়ার, মানে তারা থিওরি দিয়ে বসে থাকার লোক ছিলেন না। সে অনুযায়ী কাজ করে গেছেন।
এপিকটেটাসের কথাতেই আছে, ডোন্ট এক্সপ্লেইন ইয়োর ফিলোসফি এম্বডি ইট। মার্কাস ঔরেলিয়াস, সেনেকা, ক্যাটো এরা সরাসরি রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অন্যায়ের বিপক্ষে তারা থাকতে চেয়েছেন, যেটা তাদের এথিক্যাল স্ট্র্যাকচারে অন্যায় মনে হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। দুঃখজনকভাবে অনেকে ভালো ভাবে চিন্তা করতে পারলেও, লিখে অবদান রেখে যেতে পারলেও জীবনে স্টোয়িক থাকতে পারেন নি, যেমন সেনেকা।
একটা উদাহরণ দেই স্টোয়িক কারেজের। হেলভেদিয়াস প্রিসকাসের লাইফ থেকে।
হেলভিদিয়াস প্রিসকাস একজন রোমান স্টেইটসম্যান ছিলেন। নীরো থেকে শুরু করে গালবা, অথো, ভিটেলিয়াস এবং ভেসপাসিয়ানের সময় তিনি কাজ করতে পেরেছিলেন। রিপাবলিকানিজমের সমর্থক এই স্টেইটসম্যানের সাথে ভেসপাসিয়ানের ভালো সম্পর্ক ছিল না। প্রিসকাস তখন বৃদ্ধ।
ভেসপাসিয়ান লোক পাঠিয়ে বললেন, আপনি সিনেটে যাবেন না।
প্রিসকাস উত্তর দিলেন, এটা আপনার ক্ষমতায় আমাকে সিনেটর বানানো কিংবা না বানানো, কিন্তু যতক্ষণ আমি সিনেটর আছি, আমাকে অবশ্যই সিনেটে যেতে হবে।
ভেসপাসিয়ান বললেন, ঠিক আছে, যান। কিন্তু কথা বলবেন না।
প্রিসকাস বললেন, আমার মতামত চাইবেন না, আমি কোন কথা বলব না।
ভেসপাসিয়ান বললেন, কিন্তু আপনার মতামত আমাকে চাইতে হবে নিয়ম অনুযায়ী।
প্রিসকাস বললেন, তাহলে আমি যা ঠিক মনে করি তাই আমাকে বলতে হবে।
ভেসপাসিয়ান বললেন, আপনি যদি তা করেন তাহলে আমি আপনাকে হত্যা করব।
প্রিসকাস বললেন, কখন আপনাকে বললাম আমি অমর? আপনি আপনার কাজ করবেন, আমি আমার কাজ; আপনার কাজ আমাকে হত্যা করা, আমার কাজ মরা কিন্তু ভয়হীন চিত্তেঃ আপনার কাজ আমাকে নিশ্চিহ্ন করা, আমার কাজ দুঃখহীন ভাবে সরে যাওয়া।
এই কাহিনীটি স্টোয়িক দার্শনিক এপিকটেটাসের খুব প্রিয় ছিল। ভার্চ্যু শিক্ষা দিতে গিয়ে উদাহরণ হিসেবে তিনি হেলভিদিয়াস প্রিসকাসের উদাহরণটি দিতেন।
এখানে কী নিয়ন্ত্রণে আছে, কী নিয়ন্ত্রণে নেই, এই দুই টার্মের স্টোয়িক ব্যাখ্যা মিলে। প্রিসকাস বলেছেন, আপনে সম্রাট আমারে মারবেন, আপনার ক্ষমতা আছে, সেই ক্ষেত্রে আপনার ঐ কর্ম আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। কিন্তু আমার এথিক্যাল ফ্রেমওয়ার্ক বলছে, আপনার অন্যায় আবদার না শোনা, আমার নিয়ন্ত্রণের ভেতরে, এটা আমার চয়েজ। এখন আপনে আমারে মারলেও আমি এর থেকে সরব না।
প্রিসকাস এটা বলেন নি, সম্রাট আপনি যা বলেছেন ও করছেন সেটা আপনার কাজ, আপনার রাজ্য, আপনি আমাকে বাধ্য করছেন আপনার কথা মানতে, এটা আমার নিয়ন্ত্রণে নেই, তাই আমি দুঃখহীন চিত্তে আপনার কথা মেনে যাব।
এই দ্বিতীয় জিনিশটা হয় "কী নিয়ন্ত্রণে আছে কী নেই" এর ভুল ব্যাখ্যা, কারণ এখানে স্টোয়িক এথিকসকে অস্বীকার করা হয়। স্টোয়িক এথিকস অস্বীকার করলে সেটা আর স্টোয়িক ফিলোসফি থাকে না।
ভেসপাসিয়ানের আদেশ মানেন নি সৎ ও নির্ভীক হেলভিদিয়াস প্রিসকাস। তাকে রোম থেকে নির্বাসন দেন সম্রাট ভেসপাসিয়ান। কিছুদিন পর লোক পাঠিয়ে তাকে খুন করান।
প্রিসকাস নিজে স্টোয়িক দার্শনিক হিসেবে সম্মান পান। অথচ আধুনিক পাতলা স্টোয়িক বা ভণ্ড স্টোয়িকদের কথা হতো, প্রিসকাস আপনি ভেসপাসিয়ানের কথা শুনেন। আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই পলিটিক্স, এ নিয়ে কথা না বলেন।