স্থাপত্য ও ইঞ্জিনিয়ারিং
অটোমান সাম্রাজ্যের সময়ে তারা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় পাখিদের আবাস রাখত। সবচাইতে প্রাচীন যে স্থাপনায় পাখিদের জন্য নির্মিত আবাস দেখা গেছে তা ১৬ শতকে নির্মিত হয়েছিল। সেইসব অসাধারণ পাখিদের ঘরবাড়ি মানুষদের মধ্যে পাখির প্রতি ভালোবাসা বাড়ানোতে কাজে লাগত। এবং ধর্মীয় দিক থেকে ধরা হতো, এতে যে নেকি হবে তা পাবেন স্থাপত্যকর্মী বা কারিগর। লিঙ্ক।
১৪০২ সালে প্রাগের চার্লস ব্রিজ যেভাবে তৈরি হয়েছিল তার এনিমেশন।
বাংলার মন্দির স্থাপত্য লিংক।
বাংলার সুলতানরা দিল্লীর অধীনতা অস্বীকার করে স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর থেকেই বাংলার নিজস্ব ধরণের মন্দির নির্মান শুরু হয় সুলতানদের সরাসরি সাহায্যে। এ নিয়ে একটি ভালো লেখা, মূল লিংক, এবং ক্লিয়ার লিংক।
বই সাজেশনঃ Structures : Or Why Things Don't Fall Down, J. E. Gordon.
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক চাল আমদানী
বাংলাদেশ ২০২০/২১ সালে ২ মিলিয়ন টন চাল আমদানি করবে। সাপ্লাই কম, দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে সরকার চাল আমদানিতে কর ৬২.৫% থেকে কমিয়ে ২৫% করেছে। উল্লেখ্য গত অর্থ বছরে, যা শেষ হয় জুলাই ২০২০ এ, বাংলাদেশ ৪ হাজার টনের অল্প বেশি চাল আমদানি করেছিল। দাম কম থাকার কারণে এই আমদানির পুরোটাই করা হবে ভারত থেকে। লিংক।
বিবিসির এই রিপোর্টে প্রকাশ, বাংলাদেশের ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট পাঁচ মাসে আগে আভাস দিয়েছিলো যে এ বছরের শেষে প্রায় সাড়ে ৫৫ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে। বাজারে মোটা চালের দাম গত বছরের তুলনায় ৪৮% বেশি। প্রথম আলো।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, টেক্সট টু স্পিচ ১৫ এআই ।
পাইথন শেখা শুরু করার জন্য ভালো কোর্স।
লিডারশীপ ও ইউনিটি বিষয়ে সৌরভ গাঙ্গুলী, লিংক।
বায়োডাইভার্সিটি লাইব্রেরী। লিংক।
মাদাগাস্কারে কয়েকজন গ্র্যান্ড মা সোলার দিয়ে তাঁদের কমিউনিটি বদলে দিচ্ছেন, লিংক।
বিভিন্ন দেশের ভিন্ন ভিন্ন মান্থলি ইনকামের লোকেরা কীভাবে বাস করেন, তাদের ঘর, আসবাব পত্র ইত্যাদি দেখতে পারা যাবে এই সাইট থেকে।
হাই কোয়ালিটিতে আর্ট, লিংক এক লিংক দুই।
আপনার ট্রেইন
এই আইডিয়া একটা বইয়ে পাইলাম। বইয়ের নাম দি পাওয়ার অব নো, জেমস এবং ক্লাউদিয়া আলতুচার। মোটিভেশন মূলক বই, এবং আইডিয়াটাও মোটিভেশনাল। কিন্তু কারো কাজে লাগতে পারে।
আপনার লাইফরে ধরেন একটা রেলস্টেশন। আপনি প্লাটফর্মে দাঁড়াইয়া দেখলেন একটা ট্রেইন আসছে। এত সুন্দর ট্রেইন, দেখেই মনে হলো এটা আপনার জন্যই আসছে। আপনি তারে থামাইতে সিগনাল দিলেন। কিন্তু ট্রেইনের থামার কোন লক্ষণ নাই। আপনি লাফাইতে লাগলেন, এবং এক পর্যায়ে যখন দেখলেন ট্রেইন থামছে না তখন রেললাইনে নেমে গেলেন। লাফাইতে লাগলেন।
এদিকে ট্রেইনের চালক ভীত হয়ে উঠল। কারণ এই ট্রেইন আপনার ট্রেইন না। চালক পুলিশ কল করল, এবং ইমারজেন্সি বাটনগুলি চাপ দিল। লোকজন জড়ো হলো। মানে একটা বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা।
এদিকে এর পেছনে ছিল আপনার জন্য আসতে থাকা ট্রেইন। আপনি তাকে দেখতে পেলেন না কারণ এইসব অহেতুক বিড়ম্ভনা তৈরি করতে আপনি ব্যস্ত।
আপনার এহেন কাজগুলি তার আসা ধীর করে দিলো।
আপনার ট্রেইন আপনার স্টেশনে আসার জন্য অপেক্ষায়। কারণ এটাই তার গন্তব্য, এটাই তার কাজ। সে আপনাকে নিয়ে যাবে। কিন্তু আপনি অপ্রয়োজনীয় অনেক কিছু নিয়ে ব্যস্ত, অনেক কিছু নিয়ে হা হুতাশে ভারাক্রান্ত।
আত্মবিনাশ এড়াতে রেললাইন থেকে সরে দাঁড়ান। জীবনের ফ্লো রে গ্রহণ করেন। যে ট্রেইন চলে যাচ্ছে তাকে শুভকামনা জানিয়ে ছেড়ে দিন, এবং বিশ্বাস রাখেন আপনার ট্রেইন আসছে।
দর্শন
ইমানুয়েল কান্ট থেকে শুরু করে দেরিদা ইত্যাদি কন্টিনেন্টাল এবং এনালিটিক দুই লাইনের পশ্চিমা দার্শনিকদের অধিকাংশই রেসিস্ট। তারা নন ইউরোপিয়ান বা গ্রেকো রোমান ঐতিহ্যের বাইরের চিন্তাকে দর্শন হিসাবে মানতে চান নি।
কিন্তু একসময় চাইনিজ ফিলোসফিকে ফিলোসফি হিসেবে ইউরোপের থিংকাররা দেখেছিলেন। এবং মনে করা হত দর্শনের উৎপত্তি ভারতে বা আফ্রিকায়।
কিন্তু পরবর্তীতে আধুনিক থিংকাররা এগুলিকে অস্বীকার করেছেন।
নাইজেল ওয়ারবার্টন লিখেছেন এই বিষয়ে।
সামনে চীন এবং আমেরিকার ভু-রাজনৈতিক সম্পর্ক
মিলিটারি জার্নাল এবং থিংক ট্যাংকগুলির হিসাবে আমেরিকা ও চীনের সম্পর্ক যেসব মূল জিনিশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে, তার প্রধান একটি হলো সাউথ চায়না সি।
সাউথ চায়না সিতে চীনের পদক্ষেপ কী হয় এর উপর নির্ভর করবে ভবিষ্যতে চীনের সাথে আমেরিকা এবং অপরাপর পশ্চিমা দেশগুলির সম্পর্ক।
সাউথ চায়না সিতে বাণিজ্যপথে চীন যদি বাঁধা বা ব্লকেড তৈরি করে তাহলে নিচের ছবির লাল গোল অংশ দিয়ে কোন কার্গো জাহাজ, তেল ট্যাংকার যেতে পারবে না।
এতে জাহাজগুলিকে অনেক ঘুরে যাতায়াত করতে হবে, আর তাতে খরচ এবং সময় অনেক বেড়ে যাবে।
করোনা প্যান্ডেমিকের সময় দেখা গেছে গ্লবাল সাপ্লাই চেইনে কোন বিপত্তি তৈরি হলে এতে কত অসুবিধা এবং ক্ষতি হয়। উপরোক্ত ব্লকেড হলে সিংগাপুর এবং তাইওয়ান তাঁদের প্রায় সব আমদানি রপ্তানি থেকে ব্লক হয়ে যাবে।
এর অর্থনৈতিক ক্ষতি প্রচুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াও সরাসরি আক্রান্ত হবে। নিচের ছবিতে দেখানো হয়েছে আনুমানিক কত জিডিপি শতাংশের ক্ষতি হবে,
ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়ার দুইজন গবেষক এইসব হিসাব করেছেন, তাঁদের রিসার্চ থেকেই ছবি দুইটি নেয়া।
উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন সাউথ চায়না সিতে এগ্রেসিভ মুভ নিলে চীনের কোন ক্ষতি হবে না। পক্ষান্তরে তাইওয়ান এবং সিংগাপুর ধ্বংস হবার মত দশায় চলে যাবে। তাহলে একটা ভালো সম্ভাব্যতা থাকে যে, সরাসরি মিলিটারি মাইর বা হাতাহাতি (কনফ্রন্ট্রেশন এর অনুবাদ) এড়িয়ে তারা যেকোন এগ্রেসিভ পদক্ষেপ নিতে পারে। এতে তাইওয়ান এবং সিংগাপুর তাঁদের শর্ত মানতে রাজী হবে নিজেদের বাঁচাতে।
এহেন পরিস্থিতি তৈরি হলে আমেরিকা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে তা গুরুত্বপূর্ণ। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া আমেরিকার প্রতিরক্ষা মিত্র, কিন্তু সেখানে বিষয়টা হলো সরাসরি এটাক করলে আমেরিকা এগিয়ে আসবে। কিন্তু এইরকম ব্লকেড দেয়া কি সরাসরি এটাক হিসাবে দেখবে আমেরিকা?
বই সাজেশনঃ লি কুয়ান ইউ দ্য গ্র্যান্ড মাসটার'স ইনসাইট
এবং এখানে আরেকটা পয়েন্ট, এই ব্লকেড দিলে আমেরিকার কোন অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে না। তারা যদি এখানে জড়ায় তাহলে একমাত্র কারণ মিত্রদের সুরক্ষা এবং ঐ অঞ্চলে তাঁদের প্রভাবকে রক্ষা।
আমেরিকার সিংহাসনে যখন ট্রাম্পের মোট মাথা নষ্ট এক প্রেসিডেন্ট বসা ছিল, তখন চীন কেন, অন্য কোন দেশের এত দুঃসাহস নেই এমন আক্রমণাত্মক পদঃক্ষেপ নেয়ার। কারণ ঐ প্রেসিডেন্ট কী করবে তার ঠিক নাই, যুদ্ধ লাগিয়ে দিতে পারে।
পক্ষান্তরে দীর্ঘদিনের রাজনীতি অভিজ্ঞ এবং যুদ্ধ নিয়ে চিন্তিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যখন ক্ষমতায়, তখন তার মুভ কী হতে পারে অন্তত এই জিনিশ আন্দাজ করার জায়গা থাকে। এখানে চীনের জন্য সুবিধা। বাইডেন হয়ত অন্যভাবে সমাধান করতে চাইবেন, আলাপ আলোচনার মাধ্যমে। এতে চীনের প্রভাব বিস্তারের পথ সুগম হয়।
এখন কি ২০২১ সালেই চীন এইরকম পদক্ষেপ নিয়ে নিবে? এত তাড়াতাড়ি নাও হতে পারে। চীন প্রযুক্তিগত ভাবে স্বয়ংসম্পূর্নতা অর্জন এবং বেল এন্ড রোডের মাধ্যমে একটা গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন তৈরির কাজ করে যাচ্ছে। বাইডেনের টার্ম যখন শেষ হবে ২০২৪ এ, তখন চীন সাউথ চায়না সিতে একটা ঝামেলা লাগিয়ে সহজেই প্রমাণ করে দিতে পারে বাইডেন দূর্বল, এবং আমেরিকান নির্বাচনে সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। চীনের কাছে ইতিহাস থেকে একটি প্রমাণও আছে যে এই রকম জিনিশ কাজ করে, ১৯৮০ সালে ইরানীয়ান হোস্টেজ ক্রাইসিস প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের ভরাডুবি ঘটিয়েছিল।
"If you take risks and face your fate with dignity, there is nothing you can do that makes you small; if you don't take risks, there is nothing you can do that makes you grand, nothing." - Nassim Taleb
আপনার লেখার ভক্ত। আমি এমনিতেই প্রবন্ধ পছন্দ করি। "জ্ঞান অর্জন এবং বিতরণ পুরুষ জন্মের ঋষিঋণ" এই ফিলোসফিকে না ভালবেসে পারলাম না।