আলফা মেইল
আলফা মেইল এর প্রচলিত যে ধারণা এটি ভুল। যে মূল রিসার্চ থেকে এই ধারণার উৎপত্তি, শিম্পাঞ্জি পলিটিক্স, ওইখানে আলফা মেইলের যে ধারণা ছিল, সেটি পরে পপুলার হওয়া টার্ম আলফা মেইল ধারণ করে নি। ইভেন, ঐসব রিসার্চ মতে কোন দলের হাই র্যাংকিং পার্সন তথা আলফা যে মেইলই হতে হবে এটা ছিল না। যেমন শিম্পাঞ্জিদের ক্লোজ ম্যামাল বনোবোদের ক্ষেত্রে আলফা ফিমেইল হয়।
সব স্তন্যপায়ীদের ক্ষেত্রে মহিলাদের এম্প্যাথী তথা সহমর্মীতা বেশি থাকে। শিম্পাঞ্জি আলফা মেইলদের সহমর্মীতা তাদের মহিলাদের চাইতেও অনেক বেশি হয়।
অর্থাৎ, আলফা মেইল মানে বুলি, বা এগ্রেসিভ না।
শিম্পাঞ্জি আলফা মেইলদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে আছে হাই এম্প্যাথি, ন্যায় বিচার এবং দূর্বলদের নিরাপত্তা দেয়া।
মাসকুলিনিটিরে ডিফাইন করার চেষ্টা
—
যখন দূর্বল নিজের দূর্বলতার জন্য নিজের লাইফকে ঘৃণা করতে থাকে, তখন তার এই পেইন দূর করতে সে এক ইমাজিনারি এনিমি কল্পনা করে নেয়। কল্পনা করে তার দূর্বলতা ও ফেইলারের জন্য দায়ী এই এনিমি। সেই এনিমির বিরুদ্ধে নানাভাবে বিষোদগার করতে থাকে। এটাই রিসেন্টিমেন্ট এর ফাংশন ফ্রেডারিক নীতশের কনসেপ্টে।
-
আপনার কি আসমানের মেঘ (ক্লাউডস) দেইখা হাতি ঘোড়া ড্রাগন ইত্যাদি আকৃতির মত মনে হইছে কখনো?
এটা হচ্ছে ভিজুয়াল প্যাটার্ন থেকে মিনিংফুল ইমেজ তৈরি করা, ক্রিয়েটিভিটি আছে বুঝায়। এবং বুঝায় এস্থেটিক জিনিশ, ন্যাচার বা গুড আর্ট এগুলা বুঝার ক্ষমতা আপনার আছে।
Why our "wandering brains" are wired to love art and nature
---
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে আমার গল্প। লিংক।
গুরুচণ্ডালী ঈদ সংখ্যায় আমার নতুন গল্প। লিংক।
—
ডেটা আপনারে ভিন্ন ভাবে চিন্তা করতে হেল্প করে।
অন্যথায়, ডেটা কেবল কিছু সংখ্যাই আপনার কাছে।
যেমন, এমনিতে রানী ক্লিওপেট্রা, পিরামিড ও আইফোন, এই তিন জিনিশের নাম শুনলে আপনার কাছে ক্লিওপেট্রা ও পিরামিডরে নিকটাত্মীয় মনে হবে।
কিন্তু বিগ পিকচারে, পৃথিবীর ইতিহাস বিবেচনা করলে, ক্লিওপেট্রা আইফোনের বেশি নিকটে।
ক্লিওপেট্রার জন্ম পিরামিডের ২৬১৮ বছর পরে।
আর আইফোনের জন্ম ক্লিওপেট্রার ১৯৫১ বছর পরে।
কার্টুনিস্ট রবার্ট ম্যানকফ নিউ ইয়র্কারে লিখেছিলেন, ইট'স নট দ্য ইনক, ইট'স দ্য থিংক দ্যাট মেইকস এ কার্টুন।
ডেটা ভিজুয়ালাইজেশন ও এনালাইসিসের ক্ষেত্রেও একই কথা।
—
জ্ঞানার্জন -
রাবণ মৃত্যুশয্যায়। রাম তার ভাই লক্ষণকে বললেন, তাড়াতাড়ি যাও ভ্রাত, রাবণের কাছ থেকে জ্ঞানাদি অর্জন করো, সে খারাপ হতে পারে কিন্তু মহাপণ্ডিত। এমন কিছু তার কাছ থেকে শিখতে পারবে যা অন্যত্র বিরল।
লক্ষণ গেলেন। পড়ে থাকা রাবণের মাথার কাছে গিয়ে বললেন, হে দানবরাজ, তুমি জীবনে যা জ্ঞানার্জন করেছ তা দিয়ে যাও, না দিয়ে মরে গেলে কেউ জানতে পারবে না। জ্ঞান প্রদান করে নিজের পাপ কিছু মোচন করো।
রাবণ কোন কথা বললেন না। মুখ ফিরিয়ে নিলেন।
লক্ষণ ফিরে গেলেন। রামকে বললেন, রাবণ অহংকারী রাজা, এখনো তার দম্ভ, কিছু বলে নাই।
রাম বললেন, ভ্রাত, তুমি যখন তাকে অনুরোধ করো, তখন কীভাবে বসেছিলে?
লক্ষণ বললেন, আমি তার মাথার কাছে বসেছিলাম।
রাম হাসলেন। এরপর নিজে চলে গেলেন ও লক্ষণকে অবাক করে দিয়ে রাবণের পায়ের কাছে বসলেন। হাত জোড় করে সম্মান দেখিয়ে বললেন, লঙ্কারাজ আপনি একজন মহাপণ্ডিত। আপনার খারাপ কর্মের জন্য আপনাকে বধ করা আমার দায়িত্ব ছিল। কিন্তু এখন আপনি আমার শত্রু না। জীবনে আপনার অর্জিত জ্ঞান আমাকে দিয়ে যান অনুরোধ করছি, অন্যথায় তা হারিয়ে যাবে।
রাবণ চোখ খুলে তাকালেন। বললেন, আপনি আমার জ্ঞান নেয়ার যোগ্য।
অতঃপর রাবণ তার জীবনের অর্জিত জ্ঞানের সারাৎসার রামকে দিয়ে গিয়েছিলেন।
(রামায়ণের ফোক ভার্সনে এইরকম কাহিনী আছে।
মুজিবকে শান্তিতে থাকতে দেননি ভুট্টো - লিংক