একেশ্বরবাদ যখন আসলো ধর্মীয় মতবাদ হিশাবে তখন সেটা প্যাগান সমাজেই আসছিল। প্যাগানরা এদের নাস্তেক বলত। কারণ প্যাগানদের অনেক দেব দেবীর ধারণার বাইরে তাদের ঈশ্বরচিন্তা ছিল ব্যতিক্রম, সেটা সহজে ধরার মত না।
প্রথম একেশ্বরবাদী হিশাবে যারে ধরা হয়, জুদাইজমের আব্রাহাম, তিনি দেখা যায় তার ঈশ্বরের সাথে দেখা, ইভেন তর্ক বিতর্ক করতে পারতেন।
জ্যাকব তো তার দেবতার সাথে সরাসরি রেসলিং করলেন। এই ফাইটের পরেই তার নাম দেয়া হইছিল ইজরাইল। কিন্তু এখানে, গডরে জ্যাকব বলেন তোমার নাম কী? গড তখন উত্তর দেন না।
এর অনেক পরে, যখন মিশর থেকে মোজেস কিছু লোকরে নিয়া যাচ্ছিলেন মরুভূমিতে, সেইখানেও গডের সাথে তার কথা হয়। ততদিনে গড অনেক বদলে গেছেন। সরাসরি দেখা দেন না। সেইখানে মোজেস গডরে নাম জিজ্ঞাস করলে, গড যে নাম বলেন, তার অর্থ আমি যা আমি তাই। অর্থাৎ, সেভাবে কোন নাম বলেন নাই। রহস্য রেখেছেন।
কারো নাম জানা মানে তারে নিয়ন্ত্রণ করতে পারা। তার নাম জপার মাধ্যমে। প্যাগান ধারণায় নাম জপতে জপতে ওই সময়ে গডদের বশীভূত করত মানুষেরা। তাই একেশ্বরবাদীদের গড নাম বলতে নারাজি দিলেন। তিনি মানুষরে নিয়ন্ত্রণ দিতে চান না।
গড হচ্ছে মানুষের স্পিরিচুয়াল রহস্যময় এক জায়গাকে বুঝার চেষ্টা, এবং এটা প্রায় অসম্ভব কাজ, ফলত গড মানুষের একটা নির্মিয়মান প্রজেক্ট। ইতিহাস দেখলে সহজেই অনুমেয় হয়ে উঠে যে এই প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা ট্রান্সহিউমেনিজমের কালে এই গড ধারণা আরো পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাবে।
একেশ্বরবাদে গড ধারণার আগমন, রূপান্তর, ও রিচুয়ালের ইতিহাস নিয়ে ভালো এক ডকুমেন্টারি এ হিস্টরি অব গড। ধর্ম বিষয়ে, গড বিষয়ে তথা স্পিরিচুয়ালিটি নিয়ে আগ্রহীদের জন্য উপভোগ্য, এবং উপকারী হতে পারে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারে টেক্সট প্রম্পট দিয়া যেসব ক্রিয়েটিভ আর্ট/ইমেজ বানানো হবে, এইগুলার কোন কপিরাইট হবে না বলে আমেরিকায়, আমেরিকান কোর্ট রায় দিয়েছে।
আপনি একটি ছোট স্টার্টাপ তৈরি করেছেন, যাতে নিয়মিত লাভ হচ্ছে, এবং ভ্যালুয়েশন কয়েক মিলিয়ন ডলার। এখন বিক্রি করে দিতে চান কোন কারণে। অথবা, আপনি একজন উদ্যোক্তা বা ইনভেস্টর যিনি শুরু থেকে তৈরির ঝামেলা এড়িয়ে লাভ করতে থাকা ছোট স্টার্টাপ < ৫ মিলিয়ন ডলার কিনতে চান। এমতাবস্থায় এই লিংক কাজে দিতে পারে। এখানে আপনি পাবেন এমন মার্কেটপ্লেসের খবর যেখানে উদ্যোক্তারা তাদের স্টার্টাপ বিক্রি করতে চাইতেছেন, এবং এমন ফান্ডদের খবর যারা ছোট স্টার্টাপ কিনে থাকেন।
মহানগর সিরিজে ওসি হারুণের কথাবার্তা, 'জীবনে দুইটা জিনিশ আছে' - এইসব ডায়লগ পপুলার হইছে। এগুলা হচ্ছে ডিপিটি।
ডিপিটি, যা শুনতে মনে হয় গ্রেট সত্য কিন্তু আসলে তা না।
যেমন ধরা যাক, জীবনে দুইটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিশ আছে, বিশ্বাস ও সঠিক মানুষের উপর বিশ্বাস।
এই বাক্যে, বিশ্বাসের গুরুত্ব বলা হইছে। তা সাধারণ, সবাই জানে এবং ঠিক। কিন্তু যেভাবে বলা হইছে এই দুইটা জিনিশই গুরুত্বপূর্ণ আসলে তা সত্যি নয়। কিন্তু এই 'দুইটা' দিয়া আবদ্ধ করায় একটা প্রফাউন্ড বা গ্রেট সত্যের আবহ তৈরি হয়।
এইটাই ডিপিটির কাজ।
দার্শনিক ড্যানিয়েল ড্যানেট তার ক্রিটিক্যাল থিংকিং টুলের বইতে ডিপিটি নিয়ে বলেছিলেন। ডিপিটি আইডেন্টিফাই করা থিংকারের জন্য দরকারী।
এই ধরণের বাক্য পপুলার হয়, কারণ এগুলি স্যুডো গ্রেট সত্যের আভাস দেয়। এক কবি ফেসবুকে দুই লাইনের ডিপিটিমূলক বাক্য লেখে দার্শনিক হিসাবে পরিচিত হয়ে গেছে। কিন্তু কবিতা ডিপিটি নির্ভর শিল্প নয়। বাক্যের চালাকি নিম্ন মানের কবিতা।
মহানগর নাইজেরিয়ান মুভি ক্রসরোডস থেকে অনুপ্রাণিত বলে মনে করি।
এই মুভির কাহিনী, এক সিনেটরের ট্রফি বউ রাইতে ডাকাতির শিকার হয়। পুলিশ চারজন সন্দেহভাজনরে ধরে। পুলিশের বড় অফিসারের ঐদিন শেষ কর্মদিবস। তার সন্দেহ হয় সন্দেহভাজনেরা নির্দোষ।
মহানগর এই ফিল্ম থেকে নিছে চরিত্র, ডায়লগের ধরণ, কাহিনীর মূল ধারা ইত্যাদিসহ। মহানগরের আরেক বিখ্যাত চরিত্র, নাসির উদ্দিন খান যেটাতে অভিনয় করেন, ছিনতাইকারী কায়সার, একইরকম ধরণ ধারণেরও এক চরিত্র আছে ক্রসরোডে, তার অভিনয় নাসির উদ্দিন থেকে ভালো।
মহানগরের চিত্রায়ণ ও অভিনয়ের তুলনায় ক্রসরোড ফিল্ম অনেক বেটার।
-
তৃষ্ণার্থ অবস্থায় বা আঘাতে গাছেরা শব্দ তৈরি করে বা "কাঁদে", এবং এই শব্দ খুব হাই পিচের বলে আমরা শুনতে পাই না। কিন্তু অন্য অনেক প্রাণীরা শুনতে পায়।
গাছেরা শব্দ শুনতেও পায়।
সাম্প্রতিক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা গাছের শব্দ রেকর্ড করেছেন, ও মানুষের শোনার মত করে প্রসেস করেছেন। ন্যাচারের এই লিংকে সেই শব্দ যুক্ত আছে, শুনতে পারেন।
-
গত তিন দশকে পুরুষের লিঙ্গের সাইজ ২৪% বেড়ে গেছে, রিসার্চারেরা এই ট্রেন্ড লক্ষ্য করেছেন বিশ্বব্যাপী। এর কারণ হতে পারে, খাবারের পরিবর্তন, জলবায়ুর পরিবর্তন। কারণ, এবং এর স্বাস্থ্যগত প্রভাব নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। প্রাচীন গ্রীক রোমান সমাজে, যতটুকু লেখা আমার পড়া, তাতে দেখা যায় ওই সমাজে বড় পুরুষাঙ্গকে হাস্যরস, পাশবিক ইত্যাদি মনে করা হতো। ছোট পুরুষাঙ্গ ছিলো আইডিয়াল। এইজন্য দেখবেন, তাদের স্ট্যাচুগুলির পুরুষাঙ্গ দেখা যায় ছোট। এরিস্টোফেনিস তার ক্লাউড নাটকে আদর্শ যুবা দেহ বর্ননা করতে লিখেছিলেন, "... You'll always have a gleaming chest, bright skin, broad shoulders, tiny tongue, strong buttocks and a little prick". সম্ভবত, বড় পুরুষাঙ্গের জনপ্রিয়তা আধুনিক সমাজে বেড়েছে, ফ্রয়েডের তত্ত্বের জনপ্রিয়তার কারণে। মিডিয়ার এই সংশ্লিষ্ট প্রচার প্রচারণা বড় পুরুষাঙ্গের আকাঙ্ক্ষা তৈরি করেছে। এটাও পরের প্রজন্মে পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারে।
-
যে দেশের ফুড, এনার্জি সভ্রেনিটি নাই, তার জন্য ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি লাভজনক তো না, উলটা বিপদজনক।
ট্রুরিজম যত বড় হবে ততো ফুড এবং এনার্জি আমদানিতে চাপ পড়বে।
যার ফল ভোগ করছে শ্রীলঙ্কা।
২০০৯ পরের দশ বছরে তাদের ট্যুরিস্ট সংখ্যা বাৎসরিক, ০.৫ মিলিয়ন থেকে ২.৫ মিলিয়ন হইছিল।
ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট বাড়ছে। রপ্তানী বাড়ছে। রেমিটেন্স বাড়ছে। পাঁড় ক্যাপিটা জিডিপি গ্রোথে মিডল ইনকাম দেশের তালিকায় চলে গেছে, একনোমিস্টেরা উদযাপন করছেন এই অর্জন।
কিন্তু সবগুলাই তাদের বিপদে ফেলছে।
ক্যামনে?
বিষয়টা ইন্টারেস্টিং।
তাদের ফুড ও এনার্জি সভ্রেন্টি নাই, আমদানী করতে হয়। দুই, তারা যেসব পণ্য রপ্তানি করে ওইগুলাতে ভ্যালু এডিশন কম। অর্থাৎ, কাঁচামাল ইত্যাদি আমদানী করতে হয়।
এইক্ষেত্রে, ট্যুরিজম যখন বাড়লো ফুড, এনার্জিতে চাপ পড়লো। ফরেন ইনভেস্টমেন্ট যখন বাড়লো, রপ্তানী বাড়লো, পরিসংখ্যানে দেখাইল দেশের গ্রোথ হচ্ছে। কিন্তু ভ্যালু এডিশন কম থাকায়, এই রপ্তানী বাড়ায় এনার্জি, কাঁচামাল আমদানিও বাড়ছে, এবং ফরেন ইনভেস্টমেন্ট বাড়ায় লাভের অংশও ভাগ হইয়া গেছে। আর রেমিটেন্স বাড়া একইসাথে ব্রেইন ড্রেইন বাড়া।
এইসব উন্নতি বলে মনে হইলেও, যেহেতু রপ্তানী করা পণ্যে কম ভ্যালু এডিশন ছিলো, আর খাদ্য ও এনার্জি আমদানী করতে হইত, তাই বৈদেশিক ঋণ বাড়তে থাকে। ২০০৮ সালে ১৬ বিলিয়ন, ২০১৯ সালে ৫৬ বিলিয়ন ডলারে।
অর্থাৎ, শ্রীলংকা ঋণের ট্র্যাপে পড়ে গেলো।
একনোমিস্ট ফাদেল কাবুবের মতে, এই ট্র্যাপ নিও কলোনিয়াল একনোমিক ট্র্যাপ। যেটি ১৯৬০ সাল থেকে শুষে নিছে ১৫২ ট্রিলিয়ন ডলার ফ্রম গ্লোবাল সাউথ।
এইজন্য গ্লোবাল উন্নতির গ্রাফে ধনী দেশগুলার উন্নতির গ্রাফ এতো উঁচা থাকে।
—
পেইড নিউজলেটারে প্রকাশিত নতুন লেখাসমূহঃ
ব্লেইজ প্যাসকেলের প্যানসিজ থেকে অনুবাদ।
সাইকোলজিঃ মানুষ কি নিজেই নিজেরে আটকে রাখতে পারে?