ন্যাশ ডেইলি নামে এক ভিডিও কন্টেন্ট নির্মাতা আছেন, ইনফ্লুয়েন্সার। অর্থাৎ, পাবলিকের লাইফরে এরা ইনফ্লুয়েন্স করেন। বলা যায় আধুনিক দুনিয়ার ধর্মগুরু ও দার্শনিক এনারাই। তাই, উনাদের কথাবার্তা গুরুত্বের দাবী রাখে।
সাম্প্রতিক কালে ন্যাশ তার ছয় বছরের সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটাইছেন। সেটা ভিডিও কন্টেন্ট আকারে প্রকাশ করছেন। ন্যাশের পেইজে মিশন লেখা, তারা মানুষদের কাছাকাছি আনেন, উই ব্রিং পিপল টুগেদার। কিন্তু তারা দুইজনই কাছাকাছি থাকতে পারলেন না। দূরে যাবার গল্প দেখাইলেন।
কিন্তু এটা সমালোচনার পয়েন্ট না। ব্যক্তিগত ভাবে উনারা দূরে যাইয়া মানুষদের কাছে আনতে পারেন, বিভিন্ন কালচারের মেলবন্ধন ব্লা ব্লা ইত্যাদি দেখাইয়া।
আরেক স্থুল সমালোচনা, কেউ কেউ বলতেছেন কন্টেন্ট বানাইয়া টেকা কামাইতে এটা করছে।
কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তো কন্টেন্টই বানাবে। এই মেয়েরে নিয়া দেশে দেশে ঘুইরা কন্টেন্ট রোমান্টিকতা খাওয়াইছে, গল্পে আলাদা স্বাদ আনছে, এখন হুট করে না ছাইড়া কনটেন্ট বানাইয়াই বিচ্ছেদ করলো। এতে ভিউ হইল, নিজেদের সম্পর্ক দর্শন প্রচার হইল, এবং ফ্যানদের জাজমেন্ট ও সমালোচনা থেকেও বাঁচার পথ হইল। এটা সে করতেই পারে।
আমরা বরং দেখতে পারি কন্টেন্টে ন্যাশ কী মেসেজ দিলেন, তার ফিলোসফি কী এইখানে, যা ব্যবহার করে আমরা আমাদের লাইফ আরও সুন্দর করতে পারি।
ন্যাশের ভিডিওর সারমর্ম এমন, একজনরে ভালো লাগতে পারে। মনে হইতে পারে সে সোলমেট। ওইসময় হয়ত সে সোলমেটই থাকে। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে ওইটা চেইঞ্জ হইতে পারে। অনেক অনেক দেশ ঘোরাঘোরি, মজা ফান ইত্যাদির পরেও একজন আরেকজনের ইমোশনাল চাহিদা পূরণ না করতে পারে। তারা কানেক্ট না করতে পারে। এবং একসময় তারা বিচ্ছেদ করতে পারে।
মজার ব্যাপার হইল, ন্যাশ এবং তার পার্টনার সবই বুঝছেন। কিন্তু সমাধান করতে পারেন নাই।
কেন পারেন নাই?