কোন কিছু কাব্যিক হয়ে শেষ হয় না। এমনি শেষ হয় আর আমরা তাকে নিয়ে কাব্য করি। যেইসব রক্ত বয়ে গেছে এগুলি কখনোই সুন্দর ছিল না। ছিল কেবলই লাল।
কেইট রকোস্কি
যেমন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। অনেক রক্ত বয়ে গেছে, মানুষ শরণার্থী হয়ে গেছেন ঘর বাড়ি ছেড়ে, শরনার্থী শিবিরে রোগে, শোকে, না খেয়ে অনেক অনেক মানুষ মারা গেছেন, যাদের তালিকা পর্যন্ত নেই। অনেক মানুষ ধর্ষিত হয়েছেন, যুদ্ধশিশু জন্ম দিয়েছেন, এবং স্বাধীন বাংলাদেশে যাপন করেছেন অপমানের জীবন।
মুক্তির গান, কাব্যে সেসব যেভাবে উঠে আসুক না কেন, প্রকৃত প্রস্তাবে বাস্তবতা ছিল অনেক বেশী নির্মম, রুঢ় ও রক্তাক্ত।
আমাদের দেশের সমস্যা এটা না যে বই নিষিদ্ধ হচ্ছে, বরং বই মানুষ পড়ছে না সেটা। একটা সংস্কৃতি ধ্বংস করতে হলে আপনার বই পুড়াতে হবে না। শুধুমাত্র লোকেরা যাতে সেগুলি না পড়ে সে ব্যবস্থাটা করলেই হবে।
রে ব্র্যাডবুরী।
সহজ কথা, কোন ব্যাখ্যার দরকার নেই।
একটি কুকুরের লেজকে পা যদি আপনি বলেন তাহলে কুকুরটির পায়ের সংখ্যা কতো হবে? চারটিই হবে। কারণ আপনি লেজকে পা বলায় কুকুরটির লেজ পা হয়ে যায় না।
আব্রাহাম লিংকন।
আপনি কীভাবে বলেন ও দেখেন, তার দ্বারা বাস্তবতা বদলায় না।
সিরিয়াস লোকজন ও গর্দভদের মধ্যে যখন পার্থক্য করতে পারে না, তখনই রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়।
এন্টিস্থেনিস
বাংলাদেশের সামাজিক মাধ্যমে যেমন এই অবস্থা আছে, আগেকার সমাজেও ছিল।
"Sing aloud, O daughter of Zion;
shout, O Israel!
Rejoice and exult with all your heart,
O daughter Jerusalem!"
একজন ব্যক্তি বাস্কেট বলের ঝুড়িতে বল ছুঁড়ে ফেলবেন। তিনি নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে একবার মারলেন। ঝুড়ির একহাত কাছ দিয়ে গেল।
আরেকবার মারলেন, এবার আরেকটু দূর দিয়া গেল।
এভাবে তিনি বল ছুঁড়তে থাকলেন।
ধরা যাক ৭ম বারের চেষ্টায় তিনি ঝুড়িতে বল ফেলতে স্বক্ষম হলেন।
কিন্তু এখানে কী হইল, আসলে?
তিনি চেষ্টা করেছেন, এবং গুরুত্বপূর্ণ জিনিশ, প্রতিটা চেষ্টায় ফিডব্যাক পাইছেন।
কত দূর দিয়া গেল, কত কাছ দিয়া গেল, ইত্যাদি।
এই ফিডব্যাকগুলা তার পরবর্তী ছোড়ারে প্রভাবিত করছে। তিনি ফিডব্যাকের অনুপাতে বদলাইয়া নিছেন।
আপনি যদি ১০ হাজার ঘণ্টা ফিডব্যাক ছাড়া কাজ করেন যে উন্নতি হবে, এর চাইতে ১০০ ঘণ্টা ফিডব্যাক সহ কাজ করলে বেশী কাজ হবে।
মানুষ ঠিকঠাক প্রাকটিসে প্রায় যেকোন কিছু আয়ত্ত্ব করতে পারে।
এর জন্য দরকার তার গাইডলাইন।
এবং রাইট ফিডব্যাক।
এই দুইটা না থাকলে কঠোর পরিশ্রমেও কাজ হয় না। কারণ সে তো ফিডব্যাক পাচ্ছে না তার উন্নতি না অবনতি হচ্ছে, সে রাইট পথে আছে কি না।
মানুষ সাধারণত একটা লেভেলে পৌঁছানোর পর আত্মতুষ্ঠিতে ভোগে, এবং কম্ফোর্ট জোন থেকে বের হতে চায় না। এতে তার স্কিলের উন্নতি তো হয় না, উলটা সময়ের সাথে অবনতি হয়।
প্রথমে তারে লং টার্ম প্ল্যান করতে হবে, সে কী করতে চায়। জালালাবাদ থেকে জিন্দাবাজার যাইতে চায়, এটা লং টার্ম প্ল্যান।
এরপর সে ছোট স্টেপ নিল। হেঁটে গেল মরিলের মাঠ পর্যন্ত। রিকশা নিল, গেল আম্বরখানা। সেখান থেকে আরেক রিকশা নিয়ে গেল চৌহাট্টা। সেখানে গিয়ে দেখল রাস্তা বন্ধ। হেঁটে মহিলা কলেজের সামনে দিয়া গেল জিন্দাবাজার। এগুলা ছোট ছোট স্টেপ।
এই স্টেপগুলা ঠিক হচ্ছে কি না, প্রতিটা স্টেপের আগে পরে তার ফিডব্যাক দরকার। তা না হইলে দেখা যাবে জিন্দাবাজার যাওয়া হবে না, চলে যাবে রিকাবিবাজার।