এই পোষ্ট দেখলাম ভাইরাল হচ্ছেন।
প্রয়োজন ছাড়া কেউ কাউরে মনে রাখে না বুঝাইতে অন্ধ এবং লাঠির উদাহরণ ঠিক না।
অনেকে বলতে পারেন, তাইলে কি চোখে দেইখাও লাঠি কান্ধে নিয়া ঘুরব।বা মুইতা টিস্যু ইউজ করে সম্মান দেখাইতে উনারে পকেটে রাখব। কেউ কেউ এইভাবে ভুল ধরতে চাইছেন।
এইভাবে ভুল আছে রূপকে, কিন্তু এইটা আমি বলতেছি না।
আমার কথা টানতে এইট মাইল ফিল্মে যাই, ওইখানে এমিনেমের লাইফের একাংশ দেখবেন। তিনি যখন এইট মাইলে ছিলেন, তার লাইফের স্ট্রাগলের অংশ। ওইখানে কবিগানের মত তারা র্যাপ গানে যুদ্ধ করত, ছন্দ মিলাইয়া একজন আরেকজনরে গালাগালি। পারিবারিক সমস্যা, টাকা পয়সা নাই, কী করবে বুঝতেছে না, আর এই র্যাপ গানের প্যাশনে স্ট্রাগল করতে থাকা এমিনেম কীভাবে এখান থেকে বের হয় তার এক ইশারা আছে এই ফিল্মে।
যেসব বন্ধু তার প্রিয় ছিল, যেগুলার লগে চলতো, যারা তারে ওই র্যাপ গানের যুদ্ধে নিয়া যাইত, এদের সঙ্গ ছাড়াটাই ছিল প্রধান।
শেষের দিকে এইটা ঘটে, যখন সে বুঝতে পারে বা সিদ্ধান্ত নিয়া ফেলে এইসব ছাইড়া দিয়া নিজে নিজে রেকর্ড করবে।
এই সিদ্ধান্ত না নিতে পারলে তার কিছুই হইত না।
এইটা ছিল তার ওই লাঠিরে ফেলে দেবার মত।
গ্রোথ চাইলে আপনারে লাঠি ফেলে দিতেই হবে। নাইলে, লাঠি আপনারে আটকাইয়া রাখবে।
এই লাঠি হইতে পারে বন্ধুবান্ধব, পরিবারের লোকজন, ইভেন, মা বাপও হইতে পারেন। সকল সময় এইটা হয় না, অনেক সময় তারা আপনারে ইন্সপায়ার করেন। কিন্তু অনেক সময়, একসময়ের প্রিয় ও প্রয়োজনীয় মানুষ হইয়া উঠতে পারে আপনার গ্রোথের অন্তরায়। যেমন মহান গ্যেটে একসময় লাঠি হইয়া উঠছিলেন শিষ্য একারম্যানের গ্রোথে।
গ্রোথ বলতে এখানে বুঝাইতেছি নিজের ফ্রিডম, স্বাধীন মানুষ হইয়া উঠা, জ্ঞানে এবং অর্জনে সমৃদ্ধ হওয়া।
চক্ষুষ্মান যদি হইয়া যাইতে থাকেন, তাহলে খেয়াল করেন কারা আপনার লাঠি, এদের ফেলে দেয়াই ভালো কাজ।
তা না হইলে ওই হাতির বাচ্চার গল্পের মত হবে বিষয়টা। ছোট বেলায় যারে অশক্ত দড়ি দিয়া বাইন্ধা রাখত সার্কাসে, সে ছুটতে পারত না। পরে তার অভ্যাস হয়ে যায়। এখন সে দামড়া হাতি, একই দড়ি দিয়া বান্ধা, কিন্তু সে ছিঁড়তে চেষ্টাই করে না। কারণ, তার বিশ্বাস জন্মাইয়া গেছে, ছিঁড়তে পারবে না।
চক্ষুষ্মান হইছিলেন এমন অনেক মানুষ মিলবে, যারা লাঠি ছাড়তে পারেন নাই, তাই এখন কালা চশমা পরে, চোখ বন্ধ কইরা লাঠির সাহায্যেই হাঁটেন।