ঠাকুরের মূর্তি কি খালি ঠাকুরের মূর্তি?
না।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি, তার সম্পর্কে যে ডমিন্যান্ট আইডিয়া, তারও মূর্তি।
ভাবেন, ওই 'বাকস্বাধীনতার' সিম্বোলিক উপস্থাপনে আল মাহমুদ বা আরজ আলী মাতুব্বরের মূর্তি হইলে কি হইত? এই থট এক্সপেরিমেন্টেই আপনার মাথায় ধরা দিবে, মূর্তি খালি মূর্তিই না।
আল মাহমুদের মূর্তি মানে জামাত সংশ্লিষ্টতা, আরজ আলীর মূর্তি তার নাস্তিকতারে নিয়াই হাজির থাকে।
আরজ আলী বা অভিজিত রায়ের মূর্তি বাকস্বাধীনতা প্রতীকী হিশাবে উপস্থাপিত হলে এর সরকারী অথোরিটির নামাইতে হইত না। ইসলামিস্টরাই ভেঙ্গে ফেলতেন।
কেন তারা ভাঙতেন, যেহেতু এটা এইক্ষেত্রে তাদেরই পক্ষে উপস্থাপিত, অর্থাৎ "বাকস্বাধীনতার" পক্ষে, সরকার বিরোধী কিছু বইয়ের বেচাবিক্রি বন্ধ করার প্রতিবাদে?
তারা ভাঙতেন কারণ তারা বুঝেন, যে মূর্তি কেবল মূর্তিই না, মূর্তি ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে যে ডমিন্যান্ট আইডিয়া, তারও উপস্থাপন।
ফলে রবীন্দ্রকালচারের বিরোধীরা রবীন্দ্রনাথের মূর্তিরে খালি মূর্তি হিশাবে দেখবেন, যেহেতু এটা "বাকস্বাধীনতার" পক্ষে উপস্থাপিত হইছে, এই কথার লজিক নাই।