চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করে আপনি দিনে ৫০০ ডলার আয় করতে পারেন, এটা কি জানেন?
এর জন্য আপনাকে বেশী কিছু জানতেও হবে এমন না। জানতে হবে কিছু বেসিক ইংলিশ, এবং প্রম্পট দেয়ার নিয়ম।
আপনি বানাতে পারবেন সফটওয়ার, ক্রোম এক্সটেনশন, ব্রাউজারের প্লাগিন, এমনকী এপ!
আপনাকে কিছুই করতে হবে না কোডিং এর। পাওয়ারফুল এ-আই কোড করে দিবে।
আপনি কেবল দিবেন যথাযথ ইন্সট্রাকশন।
এই ইন্সট্রাকশন দেয়ার স্কিলই আজকের দুনিয়ায় সবচাইতে মূল্যবান স্কিল।
আমি কীভাবে ইনস্ট্রাকশন দেয়া যায়, অর্থাৎ প্রম্পট ডিজাইন করতে হয় তার এই গাইডবুক লিখেছি।
৫০০ পেইজের এই গাইডবুক অনুসরণ করলে কয়েকমাসেই আপনি চ্যাট জিপিটিকে নির্দেশ দানে দক্ষ হয়ে উঠবেন।
এবং এর মূল্য রেখেছি মাত্র ৯ ডলার, সবার সাধ্যের মধ্যে রাখতে।
এইখান থেকে কিনে নিন - লিংক।
-
এই ধরণের পোস্ট আপনি প্রায়ই দেখে থাকবেন। চ্যাট জিপিটি না অন্য যেকোন ‘হট' প্রযুক্তি বা জিনিশ নিয়ে মানুষেরা এমন প্রচার করে।
এখন, আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, এই মানুষেরা এত ভালো কেন?
দিনে ৫০০ ডলার বানানো যায় অনায়াসে, এটা শিখে, সবাইরে এইভাবে শেখাতে চাচ্ছে কেন?
এইটা বুঝতে আমাদের একটু ইতিহাসে যাইতে হবে।
নিচের ছবির ব্যক্তির নাম স্যামুয়েল ব্রেনান। তিনি জন্মেছিলেন মার্চ ২, ১৮১৯ সালে। গত হন মে ৫, ১৮৮৯ সালে।
ইনি ক্যালিফোর্নিয়া গোল্ড রাশের প্রথম মিলিওনিয়ার।
জেমস মার্শাল এবং জন সাটার নামে দুইজন লোকের সাথে তার পরিচয় ছিল। তাদের থেকে কোনভাবে তিনি জেনেছিলেন যে গোল্ড পাওয়া যাইতেছে। সাটার ও মার্শাল ব্যাপারটা গোপন রাখলেন।
কিন্তু স্যামুয়েল ব্রেনান বে এরিয়াতে গিয়ে গোল্ড খোঁজার জন্য যা যা লাগে, শভেল, প্যান, ডিনামাইট ইত্যাদি সব কিনে নিলেন। এরপর বার্কেলেতে একটা হার্ডওয়ারের দোকান খুললেন।
তারপর সান ফ্রান্সিসকোর ডাউনটাউন পোর্টস্মাউথ স্কয়ারে গিয়া চিল্লাইতে থাকলেন!
গোল্ড গোল্ড! আমেরিকার রিভারে গোল্ড মিলতেছে!
ব্রেনান বুঝতে পারছিলেন এই গোল্ড পাবার খবর প্রচারিত হলে ক্যালিফোর্নিয়া হট নিউজে পরিণত হবে, এবং গোল্ড মাইনাররা এসে ভিড় করবে সান ফ্রান্সিসকোতে। এবং এখান থেকেই তারা গোল্ড অনুসন্ধানের জিনিশপত্র কিনতে চাইবে।
এবং এখানে একটাই দোকানে সব আছে, ব্রেনানের দোকান।
ব্রেনান দাম বাড়াইয়া দিলেন।
এক কোয়ার্টারে কেনা প্যানের দাম রাখলেন ৫ ডলার। এক ডলারে কেনা শভেলের দাম ত্রিশ ডলার।
তিনি হইয়া গেলেন এক ইতিহাস, ক্যালিফোর্নিয়া গোল্ড রাশের প্রথম মিলিওনিয়ার, যে এক আউন্স গোল্ডও খুঁজে বের করে নাই।
গোল্ড রাশে সাধারণত টাকা বানায় শভেল, প্যান ইত্যাদি যন্ত্রপাতি বিক্রেতারা।
গোল্ড রাশে যাওয়া মাইনারদের লাইফ ছিল কঠিন। ওইখানে প্রচুর পরিশ্রম, নোংরা পরিবেশ, স্যাঁতস্যাঁতে জায়গা, খাবারের স্বল্পতা ইত্যাদি নানা অসুবিধা ছিল। তার উপর রিস্ক, গোল্ড মিলবে কি না।
স্যামুয়েল ব্রেনান, লিল্যান্ড স্ট্যানফর্ড বা লেভি স্ট্রস, এরা এই গোল্ড রাশে আরো নিশ্চিত ভাবে গোল্ড বা টাকা বানানোর পথ বের করেন। তাদের স্ট্র্যাটেজিটা ছিল, মাইনিং দ্য মাইনার।
তারা মাইনিং এর যন্ত্রপাতি, ড্রাই গুডস, পোশাক ইত্যাদি বিক্রি করেই টাকা বানালেন।
ব্লু জিনস বা লেভি'জ প্যান্ট এখন যে সারাবিশ্বেই চলে, এইটা লেভি স্ট্রস কোম্পানি বানাইছিল মাইনারদের জন্য। কারণ এইরকম শক্ত প্যান্ট সহজে ছিঁড়বে না। এখন আমেরিকান এক সিম্বলিক পোশাক, এবং, গরমের দেশ বাংলাদেশেও মানুষেরা পরে থাকেন।
ইতিহাসের নানা সময়ে মানুষেরা নতুন প্রযুক্তি, অপরচুনিটি ব্যবহার করে হাইপ তৈরি করেছে, এবং "মাইনিং দ্য মাইনার" স্ট্র্যাটেজি অবলম্বন করে টাকা বানাইছে।