ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হবার পর থেকে প্রায় ৮ মিলিয়ন ইউক্রেনিয়ান মানুষ পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছিলেন। প্রায় ১.৫ মিলিয়ন এখনো পোল্যান্ডে রয়ে গেছেন। পোলিশরা এই যুদ্ধ বিপন্ন মানুষদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। শুরুর দিকে যখন ম্যাসিভ আকারে শরনার্থীরা আসছিলেন, সরকার এবং অন্যান্য বড় সংস্থাগুলি কার্যক্রম শুরু করেনই তখন পোলিশ মানুষেরা এবং তাদের বিভিন্ন নন প্রফিট সংস্থারাই কাজ করে গেছে। তারা কীভাবে সাহায্য করছেন, সেই পরিস্থিতি নিয়ে এই লেখা।
লং বেটস নামে একটা সাইট আছে। যেখানে কোন বিষয়ে দুইজন বাজি ধরতে পারেন দীর্ঘ সময়ের স্প্যানে। একজন একটা জিনিশ হবে বললেন, আরেকজন চ্যালেঞ্জ করলেন। দুইজন এক এমাউন্টের টাকা রাখলেন। যে জিতবে সে টাকা পাবে। সাধারণ বাজির মত। কিন্তু এই সাইট এইসব লং বাজিকে প্রকাশ্য করার ব্যবস্থা করেছে। এটি একটি নন প্রফিট, জেফ বেজোসের গ্র্যান্টে তৈরি সাইট। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো, এখানে অনেক আগ্রহ উদ্দীপক বাজি, প্রেডিকশন দেখা যায়। অনেক সময় বিখ্যাত লোকেরা সেইসব বাজি ধরেন। যেমন ওয়ারেন বাফেট এবং প্রতেজি পার্টনারসের এই বাজি, যেখানে বাফেট বলেছিলেন, হেজ ফান্ডের পোর্টফোলিওর পারফরমেন্স এস এন্ড পি ইনডেক্সের পারফরমেন্স থেকে খারাপ হবে, সময় দৈর্ঘ্য ছিল ১০ বছর। প্রতেজি চ্যালেঞ্জ নেয়। তাদের পাঁচ ফান্ডের পারফরমেন্স এবং এসএন্ডপির পারফর্মেন্স, সময় দশ বছর, এই ছিল যুদ্ধ। বাফেট এই বেটে জিতেছেন।
ইনভেস্টোপেডিয়া থেকে এই গ্রাফ
মূলত এই ফাইট এক্টিভ ইনভেস্টিং এবং ইনডেক্স ফান্ডের মাধ্যমে প্যাসিভ ইনভেস্টিং এর মধ্যে। প্রথম পেইড নিউজলেটারে পঞ্চাশ বছর আগে প্রকাশিত এ র্যান্ডম ওয়াক ডাউন ওয়ালস্ট্রিট বইয়ের কথা ছিল, যেখানে মূল থিসিস এটাই, হেজ ফান্ডেরা তথা পেশাধার মানি ম্যানেজারেরা অন এভারেজে ইনডেক্স ফান্ডকে বিট করতে পারে না, ফলে ইনডেক্স ফান্ডে প্যাসিভ ইনভেস্টিং বেটার। ওয়ারেন বাফেট নিজে একজন সেরা ইনভেস্টর হলেও সাধারণ মানুষের জন্য, প্যাসিভ ইনভেস্টিং সমর্থন করেন।
আমেরিকান পেট্রোক্যামিক্যাল জায়ান্ট ডাও, এবং সিংগাপুর সরকার জয়েন্টলি একটা প্রোগ্রাম শুরু করেছে, যেখানে জুতাকে রিসাইকেল করে তারা রানিং ট্র্যাক, প্লে গ্রাউন্ডে ব্যবহার করবে। মানুষের কাছ থেকে জুতা নিচ্ছিল। রয়টার্সের এক সাংবাদিক জুতা কোথায় যায় ট্র্যাক করতে এর ভেতরে ব্লুটুথ ট্র্যাকার লাগিয়ে দেন। এরপর এপের সাহায্যে ট্র্যাক করতে থাকেন, ও দেখতে পান এগুলি চলে যাচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার সেকন্ড হ্যান্ড শপে। তিনি ইন্দোনেশিয়ায় গিয়ে আবার তার দান করা জুতাই কিনে আনেন। ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজমের এক দারুণ উদাহরণ, সময় কম থাকলে ভিডিওটা দেখতে পারেন।
প্লাস্টিক রিসাইক্লিং ওয়েল কোম্পানিগুলার গ্রিন ওয়াশিং।
ফেব্রুয়ারিতে মেজর এসেট ক্লাসের পারফরমেন্স কেমন ছিল।
রাতে লাইট পল্যুশনের কারণে আমরা খালি চোখে তারা দেখতে পাচ্ছি না।
একসময় মানুষের উপর হিংস্র মাংসাশী প্রাণীদের আক্রমণ ছিল কমন ঘটনা। এখন তা কমে গেছে, কিন্তু ভয়টা মানুষের মধ্যে রয়েছে। ভৌতিক গল্প উপন্যাস, রূপকথায় এর দেখা মিলে। এই আধুনিক সময়ে পৃথিবীর কোন অঞ্চলে হিংস্র মাংসাশী প্রাণীদের আক্রমণ বেশি হয় মানুষের প্রতি? উত্তর, দক্ষিণ এশিয়া।
কোভিডের জন্য মাস্কের ব্যবহার চালু হয়েছিল, স্টাডিতে দেখা গেছে, যেসব মানুষেরা নিজেদের দেখতে সুন্দর মনে করেন তারা মাস্ক পরার ক্ষেত্রে কম আগ্রহী।
বিশ্ব ওবেসিটি সংস্থার রিপোর্ট মতে, ২০৩৫ সালের মধ্যে দুনিয়ার অর্ধেক মানুষ হবে অবিজ/ স্থূলকায়।
এই সংস্থা প্রজেক্ট করতেছে, আফ্রিকা ও এশিয়ার নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলিতে বেশি হারে স্থূলকায় লোকের সংখ্যা বাড়বে।
এই ১০০ স্টাডির মেটা এনালাইসিস দেখাচ্ছে, এক্সারসাইজ মেন্টাল হেলথের জন্য ভালো। স্কিজোফ্রেনিয়া, ডিপ্রেশন, এংজাইটি ট্রিটমেন্টে এক্সারসাইজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
হায়ারিং বিষয়ে স্টিভ জবস। সেরা ম্যানেজার হইল সেরা ইন্ডিভিজুয়াল কন্ট্রিবিউটর, যে কখনো চায় না ম্যানেজার হইতে, কিন্তু তারে হইতে হয় কারণ আর কেউ নাই যে তার চাইতে ভালো ভাবে কাজটা করতে পারবে। গ্রেটেস্ট পিপল, সেলফ ম্যানেজড। তারা যদি জাইনা ফেলে তাদের কী করতে হবে, তাহলে তারা নিজেরাই বের করে নেয় কীভাবে তা করতে হবে। তাদের খালি দরকার হয় ভিশনের, যেইটা লিডারশীপ থেকে আসে। লিডারশীপের কাজ হইল ভিশনটা সাপ্লাই দেয়া, এবং সেই কমন ভিশনে সবাইরে এক করা।
এই ভিডিওতে জেফ বেজোস বলতেছেন, কেন তিনি তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যা ছেড়ে দিছিলেন।
রেভিনিউয়ের দিক থেকে সবচাইতে বড় কোম্পানিগুলা।
ডেভিড ফস্টার ওয়ালেস কথা বলতেছেন আমেরিকান কনজিউমারিজম নিয়ে।
বাংলাদেশের ডেভলাপমেন্ট একনোমিস্ট জিয়া হাসান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমস্যা নিয়ে লিখেছেন, অধ্যাপক ফাদহেল কাবুবের ইনসাইটের উপর ভিত্তি করে, যেখানে বলা হচ্ছে, যদি বাংলাদেশ খাদ্য ও জ্বালানীতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে না পারে, এবং রপ্তানীতে ভ্যালু এডিশন না বাড়াতে পারে, তাহলে দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি নাই। কাবুব মডার্ন মনেটারি থিওরির ইনসাইট থেকে কথা বলেছেন। কিন্তু তিনি সরাসরি টাকা ছাপানোর ক্ষেত্রে সার্বভৌমত্ব সহসাই ঘোষণা দিয়ে ফেলার কথা বলেন নাই। স্ট্র্যাটেজিক্যালি কম নিয়ন্ত্রণ থেকে বেশি নিয়ন্ত্রণের দিকে যেতে বলেছেন। এই পজিশন যুক্তিযুক্ত।
একনোমিক মেশিন কীভাবে কাজ করে, তা বুঝতে ব্রিজ ওয়াটার এসোসিয়েটের রে দালিওর এই ভিডিও দেখা দরকারী।
টাকা ছাপানোর ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব বিষয়ে এমএমটির যে পজিশন, তার সমালোচনা এইরকম যে, এই থিয়োরি লোকাল, এবং গ্লোবাল একনোমিক বাস্তবতাকে অস্বীকার করে, বেশি ম্যাক্রোএকনোমিক, এবং এই অনুমান ধরে নেয় যে রাষ্ট্রের কর্তারা সব সময় সুবিবেচকের মত টাকা ছাপানোর কাজটা করে যাবে।
—
এ সপ্তাহের লিংক পেইড নিউজলেটারের অন্তর্গত। আজকেরটা ফ্রি, কোম্পানির প্রচারের স্বার্থে।
আমি যদি আপনার ব্লগ এই এপ্রিল মাসের ১ তারিখে সাবস্ক্রাইব করি।
আমার সাবস্ক্রিপশন কি তাহলে আগামী বছরের এপ্রিল মাসের ১ তারিখে শেষ হবে?