ঢাকায় তেলেগু সম্প্রদায়ের লোকদের উচ্ছেদ করা হইতেছে। এই নিয়ে রিপোর্ট দেখলাম দৃক নিউজ নামের ইউটিউব চ্যানেলে।
এই সব লোকেরা মেথরের/ পরিচ্ছন্নতার কাজ করে থাকেন। ফলে মানুষেরা তাদের স্পর্শ করেন না।
এই ধরণের সকল সম্প্রদায়ের লোকদের ব্যাপারে যদি খোঁজ নেন, দেখবেন তাদের প্রতি সরকারের অন্যায়ই বেশি। তাদের এই খারাপ অবস্থার জন্য দায়ী সরকার। উক্ত রিপোর্টেও এমন দেখা গেছে। তাদেরকে বার বার উচ্ছেদ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত সুযোগ তারা পান না। যেহেতু তারা সম্প্রদায়ের দিক থেকে উইক, প্রবল বাঙালী সম্প্রদায়ের দেশে, তাদের ব্যাপারে সরকারের সাহায্যের হাত বেশি দরকার ছিল। কোন দেশের সরকার তার দূর্বল জনগোষ্ঠীকে কীভাবে রাখে, তাদের সাথে কী আচরণ করে সেটা দিয়াই তার ভালো মন্দ বিচার।
বাংলাদেশের সরকার এইখানে ব্যর্থ হচ্ছেন।
কিন্তু ওই রিপোর্টের থাম্বনেইলে আছে একটা মন্তব্য, 'গ্লাস দিয়ে একটু পানি দেয় না, ঘর কেমনে দিবে ভাই।'
উনাদের একজনের মন্তব্য নিয়ে থাম্বনেইল করা হয়েছে।
এই থাম্বনেইল সামাজিক সমস্যার দিকে ইংগিত করে। মেথর সম্প্রদায়কে মানুষ যে টাচ করেন না। এইটা অনেক কাল আগে থেকে আসা একটা ব্যাপার, সম্ভবত পরিচ্ছন্নতার বিচারে এটা করা হতো। আবার জাতিভেদ তো এই অঞ্চলে ছিলোই, তা না হইলে কোন এক জাতির লোক খালি ময়লা পরিষ্কারই করে যাবে, এরকম অন্যায় নিয়মের কোন মানে হয়? হিন্দু প্রাচীন সংস্কৃত গ্রন্থ মনুস্মৃতিতে হাগা মুতা বিষয়ক পরিচ্ছন্নতার নিয়ম বিধৃত আছে। কীভাবে কোন মুখ করে বসবেন, কোন হাত দিয়া মুছবেন ইত্যাদি। সেইখানেই এইসব গু মুত সংগ্রহ ও পরিষ্কার কাজের জন্য এক নিচু সম্প্রদায়ের কথা বলা হয়। যারা এখনকার মেথর সম্প্রদায় বলে পরিচিত, এখনো সেইটা সমাজ মেনে আসছে।
এখন সামাজিক এস্থেটিক সমস্যাটা সমাধান করা সহজ না। সামাজিক মর্যাদা দিতে হবে এমন কথা বলা হয়, এগুলা নিয়া লেখাও হয়, কিন্তু এইসব অকামের। আপনি ধরে ধরে সবার মানসিকতা চেইঞ্জ করতে পারবেন না, যে মেথরের লগে গলাগলি করেন। ইভেন, ন্যায়ের, সাম্যের খাতিরেও আপনি সবাইরে মেথরের লগে বা অন্য যে কারো লগে গলাগলি করাইতে পারেন না। এমন অবস্থা নিলে তা ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠবে।