স্কুলি শিক্ষার প্রধান দূষণ
স্কুলি শিক্ষার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত ছিল মানুষরে "বিকামিং" এ হেল্প করা। তার পটেনশিয়াল কী তা দেখাইয়া দেয়া, এবং সেইদিকে তারে উদ্বুদ্ধ করা। যাতে সে যা, তার ভেতরে যে সম্ভাবনাটা আছে, সে তা হইতে পারে।
প্রতিটা মানুষের ভেতরেই একটা তীব্র আকাঙ্ক্ষা থাকে "হওয়ার", সে একটা কিছু হইতে চায়, এই হওয়ার পটেনশিয়ালিটি তার ভেতরে থাকে।
এই আকাঙ্ক্ষার তাড়নাতেই মানুষ শেখার দিকে যায়। আদার ব্যাপারী জাহাজের খবর নিলে মানুষ গোস্বা করেন। কিন্তু আদার ব্যাপারী জাহাজের খবর নিতেছে, এই লার্নিং এ যাইতেছে কারণ সে সমুদ্র যাত্রা করতে চায়, বা তার ভেতরে এই আকাঙ্ক্ষা আছে যে, ইউরোপে সে আদা রপ্তানী করতে চায় জাহাজ দিয়া।
মানুষ আপত্তি দিয়া আদার ব্যাপারীদের এই আকাঙ্ক্ষারে নাশ করতে চান। যাতে তার ভেতরে ঐ দিকে যাবার ইচ্ছা না থাকে, ফলে তার জানার ইচ্ছাও থাকবে না। সে তখন ভাববে, জাহাজের খবর নিয়া আমার লাভ কী।
লার্নিং সব সময়ই নিজের হওয়ারে, নিজের সম্ভাবনারে এক্সপ্লোর করা। মানে সকল লার্নিং, নিজেরেই দেখা।
এই দেখাটা যত মজার হবে, তত মানুষ বেশি শিখবে। আর যত বেশি এইখানে আপত্তি দেয়া হবে, তত সে শিখার আগ্রহ হারাবে।
যখন বুঝানো হবে তোমাদের সব আছে, তখন তারা কিছুই হইতে চাইবে না। যখন বলা হবে, তোমরা কিছুই হইতে পারবা না এই কয়েকটা অপশন ছাড়া, বা মাত্র কয়েকটা অপশনরেই ফোকাস করা হয়, তখন তারা ম্যানিপুলেট হয়ে এর বাইরে কিছু ভাববে না।
শিক্ষকেরা যখন ছাত্রছাত্রীদের নিরুৎসাহিত করেন, তখন তারা তাদের শেখাতেই বাঁধা হয়ে দাঁড়ান।
নিরুৎসাহ এবং একঘেয়েমি ভরে দেন ছাত্রছাত্রীদের মাথায়। এইজন্য ক্লাস লাগে বিরক্তিকর।
তারা তাদের নিজেদের ব্যর্থতা ও ব্যর্থ লাইফ ভিউ দিয়া দেখা বাস্তবতা ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে দেন। এইখান থেকে ছাত্রছাত্রীরা আর বের হতে পারে না, স্কুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে যাবার অনেক পরেও।
তারা হয়ে উঠে অভিযোগ প্রবণ, তাদের অবস্থার জন্য তারা দায়ী করে ব্রিটিশ শাসনরে, সরকাররে, এবং আরো নানা কিছুরে। যেন এক বৃদ্ধ লোক, জীবনের শেষ বয়েসে এসে নিজের ব্যর্থতা দিয়া সমাজরে দেখছে। ছাত্রছাত্রীরা লাইফ সিকিউর করতে চায় সরকারী চাকরীতে, যেমন বৃদ্ধরা লাইফের নিরাপত্তার কথা ভাবেন শেষ বয়েসে পেনশনের মাধ্যমে।
কিন্তু এরা তো বয়েসে ইয়াং, তাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি কেন হবে? তাদের মাথায় এই দৃষ্টিভঙ্গি কারা ঢুকাইয়া দেয়?
শিক্ষাব্যবস্থা, শিক্ষকেরা।
ইয়াংদের থাকবে এডভেঞ্চারের মনোভাব। তারা এক্সপ্লোর করবে। সম্ভাবনাগুলারে দেখবে। সেই দেখতে গিয়া শিখবে। জাহাজের খবর নিবে, বাতাসের খবর নিবে, নাসার খবর নিবে। কেন তারা এই অবস্থায় এই বিষয়ে অভিযোগ দেবার সময় তাদের কোথায়, যেখানে তারা নিজের অবস্থা চেইঞ্জ করার সাহস রাখে, এবং এইটাই তাদের অভ্যাস, এডভেঞ্চার। বাজে সরকারের জন্য অবস্থা খারাপ এই অভিযোগ দিবার আগে তারা সরকার চেইঞ্জ করে ফেলতে যাবে।