সূফীদের নিয়া বলতে গেলে অনেকে তাদের বিষয় বুদ্ধিহীন, নন পলিটিক্যাল, সন্ন্যাসী দেখাইতে চান। কিন্তু সকল সূফী নন পলিটিক্যালও ছিলেন না, সন্ন্যাসীও ছিলেন না।
সূফীদের ইনফ্লুয়েন্স থাকতো শাসকদের উপরে।
সেন্ট্রাল এশিয়ার নকশাবন্দী সূফী খাজা আহরার এক ইন্টারেস্টিং উদাহরণ। তিনি তার প্রাইম টাইমে ওই অঞ্চলের সবচাইতে ধনী লোক ছিলেন বলা হয়ে থাকে। এবং এই ধন সম্পদ তিনি নিজের চেষ্টা ও পরিশ্রমে অর্জন করেন, উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া না।
তিনি একবার খাজা বাহাউদ্দিন নকশাবন্দের বরাতে এক কাহিনী বলতে গিয়া বলেন, মক্কায় গিয়া একবার বাহাউদ্দিন দুইজন লোকরে দেখেন, একজন আধ্যাত্মিকতার নিম্ন স্তরে, আরেকজন উচ্চ স্তরের। নিম্ন স্তরের জন কাবার দরজায় বসেই ছিল, সে নানা কিছু নিয়া আল্লার কাছে ফরিয়াদ করতেছে। অন্যদিকে উচ্চস্তরের জন বাজারে স্বর্ণমুদ্রা দিয়া নানা কিছু কিনতেছেন, কিন্তু সেই সময়েও আল্লার কথা স্মরণ ছিল তার।
এই কাহিনীর স্পিরিট খাজা আহরারের মধ্যে ছিল। তিনি বলতেন, আধ্যাত্মিকতার দুনিয়ায় প্রবেশের নানা দরোজা আছে, আমি প্রবেশ করেছি সেবার দরোজা দিয়ে।