টাকা ফান্ডামেন্টাল লেভেলে একটা বস্তু। ধরা যাক আপনি মূলা উৎপাদন করছেন। এইটা টাকা। আপনি এইটারে খাইতে পারবেন। অথবা আরেকজন যে লাউ উৎপাদন করছে, তার সাথে বিনিময় করতে পারবেন।
আমেরিকান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার জেপি মর্গ্যান ১৯১২ সালে যখন কংগ্রেসে টেস্টিমনি দিতে যান, তখন এক পর্যায়ে তারে জিজ্ঞাসা করা হয়,
ব্যাংকিং এর মূল তো ক্রেডিট, তাই নয় কি?
জেপি মর্গ্যান বলেন, সব সময় না। এটা ব্যাংকিং এর একটা এভিডেন্স (স্বাক্ষ্য বা প্রমাণ), কিন্তু এইটা টাকা না। টাকা হইল স্বর্ণ, আর কোন কিছুই টাকা না।
এই মতে যারা বিশ্বাস করেন, তারা আসলে ওই মূলা বা লাউরেই টাকা ধরেন। বিনিময়ের স্ট্যান্ডার্ড হিশেবে স্বর্ণ নির্বাচিত হইছে বিভিন্ন ট্রায়াল এন্ড এররের মাধ্যমে। ধাতু হিশেবে স্বর্ণের কিছু সুবিধা আছে, অন্যতম বড় সুবিধা, এ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সময় খুবই কম পরিমাণ স্বর্ণ প্রতিবছর আহরিত হয় (যে পরিমাণ আছে মাটির উপরে তার ১.৫-২% মাত্র), এবং যেসব স্বর্ণ পাওয়া যায় তা নষ্ট হয় না।
যারা গোল্ডরে টাকা ভাবেন, তারা কাগজে টাকা বা ডিজিটাল টাকা, কোন কিছুরেই আসল টাকা মনে করেন না।
বর্তমানের কাগুজে টাকাও তাদের কাছে আসল টাকা না।
[ একটু সাম্প্রতিক ইতিহাস এখানে দ্রুত, সংক্ষেপে জেনে নিলে ভালো।