বাংলাদেশে গতকল্য ইলেকশন সম্পন্ন হইল। এতে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি অংশ নেয় নাই। ফলে অবধারিত ভাবেই আওয়ামীলীগ জয়ী। যেটা আগে থেকেই নিশ্চিত ছিল, ফলে এইটা আর ইলেকশন না।
এইটা ইলেকশন ইলেকশন গেইম একটা, এই খেলাটা আওয়ামীলীগরে খেলতে হইতেছে কারণ এ খেলা ছাড়া তো আর ক্ষমতায় থাকা যাবে না। অন্তত খেলাটা হইলে এক বেইজ তৈরি হয়।
ফেসবুকে দেখা গেল অনেকে ভোট দিবার ছবি দিতেছেন, আঙ্গুলের ছবি দিতেছেন। ইলেকশনের পরে দেখা গেল অনেকে জয়ী ব্যক্তিদের অভিনন্দন জানাইতেছেন, তাদের সাথে ছবি দিতেছেন।
ধরা যাক অভিনেত্রী জয়া আহসানের কথা। তিনি ভোট দিয়া আঙ্গুলের ছবি দিছেন। তিনি এমনিতে খুবই মানবিকতা দেখান, কুকুরদের সেবা করেন এইরকম দেখা যায়। কুকুরদের বিপদে তার প্রাণ কান্দে।
যে ব্যক্তি কুত্তার প্রতি মানবিক, ধারণা করেন লোকে, হয়ত তার মধ্যে ন্যায়বোধও থাকবে।
একটা দল এইভাবে ক্ষমতায় বসে আছে, বিরোধী দলের নেতাদের জেলে ভরতেছে, দমন নিপীড়ন চালাইয়া যাইতেছে, এবং এখন অন্যায় একা একা ইলেকশন করে আরো ৫ বছর ক্ষমতায় থাকতেছে। ন্যায় কোন ব্যক্তি এর পক্ষে থাকবে না।
জয়া আহসান, কুত্তার প্রতি মানবিক হইয়াও, কেন আওয়ামীলীগের পক্ষে থাকলেন?
শুধু ব্যক্তি তিনি না, আরো অনেক শিক্ষিত সুশীল লোক এর পক্ষে থাকলেন। তাদের কি বেসিক নৈতিকতা সম্পর্কে জানা নাই? আছে, জানা শোনা আছে।
কিন্তু তাও তারা কেন এই অন্যায়ের পক্ষে থাকলেন, ও সেইটা প্রকাশ্যে দেখাইলেন?