নিউজলেটার - এক
এই সংখ্যার নাম রেখেছি ভারতের সাবেক সেনা প্রধান SAM Hormusji Framji Jamshedji Manekshaw এর স্মরণে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয় যে যুদ্ধে সেই যুদ্ধের সময়ে তিনি ছিলেন ভারতের আর্মি প্রধান। পরে তাকে ভারতের প্রথম ফিল্ড মার্শালের স্থান দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
স্যাম বাহাদুরের দুরদর্শীতা ও বিচক্ষণতা, ফিজিক্যাল সাহস এবং নৈতিক সাহস অসাধারণ পর্যায়ের ছিল। এবং তিনি কথা বলতেন সরাসরি ও সে কথার মধ্যে থাকত উইট। একবার নয়টা গুলি খেয়েছিলেন যুদ্ধে, প্রায় মৃত্যুপথযাত্রী ছিলেন।
বন্ধু ইয়াহিয়া খান তার মোটরবাইক কিনেছিলেন এক হাজার রুপীতে। কিন্তু পাকিস্তান গিয়ে আর টাকা দেন নি। ১৯৭১ এ যুদ্ধে জেতার পর মানেকশো বলেছিলেন, ইয়াহিয়ার কাছে আমি মোটরবাইকের টাকা পেতাম। সে দেয় নি, কিন্তু এবার সেই কারণে দেশের এক অংশ দিতে বাধ্য হলো।
তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আপনি আজ পাকিস্তানের পক্ষে থাকলে যুদ্ধে কী হতো?
অকপটভাবে তিনি বলেছিলেন, কী আর হতো, পাকিস্তান জিততো।
তবে সবচাইতে মজার কথাটি হয়ত ইন্দিরা গান্ধীকে তার বলা উক্তি।
পাকিস্তান যখন বাংলায় ক্র্যাকডাউন শুরু করল ইন্দিরা ও তার মন্ত্রী পরিষদ চাইছিলেন বাংলাদেশে এটাক করতে। মানেকশোকে ডেকে বলা হলো। মানেকশো বললেন, এখন আমি প্রস্তুত না। সামনে বর্ষা নামবে। তখন পূর্ববাংলায় যুদ্ধ করা, রসদ সরবরাহ অসম্ভব হয়ে পড়বে। এছাড়া অন্যদিক থেকে চীন আক্রমণ করে বসতে পারে। এই রিস্ক আমি নেব না। এটি নেয়া মানে ১০০ ভাগ পরাজয়।
ইন্দিরা ও মন্ত্রী পরিষদ বিব্রত হলেন। অনেকে বুঝাতে চাইলেন। কিন্তু মানেকশো তার অবস্থানে স্থির থাকলেন।
পরে ডিসেম্বরে যখন আবার ইন্দিরা বলেন, আপনি কি যুদ্ধের জন্য রেডি?
তিনি বলেছিলেন, আই এম অলওয়েজ রেডি, সুইটহার্ট।
পার্সি কানেকশনের জন্য (ফিরোজ গান্ধী পার্সি ছিলেন) স্যাম বাহাদুর ইন্দিরা গান্ধীকে সুইটি বা সুইটহার্ট ডাকতেন।
স্যাম বাহাদুরের ইউটিউব লেকচার আছে লিডারশীপ নিয়ে। চমৎকার কথাবার্তা। বিশেষত এই মোটিভেশন বিজনেসের যুগে এমন একজন মানুষ, যিনি সরাসরি তার স্কিন খেলায় রেখে অর্থাৎ ঝুঁকি নিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তার কাছ থেকে শেখা মানে সবচাইতে সেরা জিনিস শেখা।
লিডাররা জন্মগত না লিডার তৈরি করা যায়, এই বিষয়ে স্যাম মানেকশো লিডার তৈরি করা যায় এর পক্ষে গিয়েছেন। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেছেন ভারতে ৭০০ মিলিয়নের উপরে লোক আছে, এবং প্রতি বছর ইন্ডিয়া একটি অস্ট্রেলিয়ার হারে জন্ম দিয়ে লোক বাড়াচ্ছে, লিডার জন্ম থেকে হলে ইন্ডিয়ায় লিডারের ক্রাইসিস কেন?
লিডারের ক্রাইসিস বলতে তিনি আবার কেবল পলিটিক্যাল লিডার বুঝান নি। কর্মক্ষেত্রে, সমাজেসহ সব জায়গাতেই লিডারের ক্রাইসিস চলছে ইন্ডিয়ায়, তিনি বলেছিলেন। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কথাটি আরও বেশি সত্য।
স্যাম বাহাদুরের কথা হলো-
একজন লোক দেন যার রিজেনেবল কমনসেন্স ও ডিসেন্সি আছে, আমি তার ভেতর থেকে লিডার তৈরি করে নেব।
ডিসেন্সি হলো - behaviour that is good, moral, and acceptable in society.
তারপরে তিনি লিডারের কার্ডিনাল বৈশিষ্ট্যের দিকে গিয়েছেন। এগুলি হলোঃ
১। প্রফেশনাল নলেজ এবং প্রফেশনাল কম্পিটেন্স।
তার মতে প্রফেশনাল নলেজ অর্জন করতে হয় কষ্ট করে। এটা হলো কন্টিনিউয়াস পড়ালেখা ও স্টাডি চালিয়ে যাওয়ার বিষয়। আর প্রফেশনাল নলেজ ছাড়া কখনোই প্রফেশনাল কম্পিটেন্স আসবে না।
২। সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা এবং এর সম্পূর্ন দায় দায়িত্ব নেবার মতো শক্তি ও সাহস।
৩। মোরাল এবং ফিজিক্যাল সাহস।
৪। লয়ালটি। এটা টু ওয়ে থিং। আপনি যার কাছ থেকে লয়ালটি আশা করেন তাকেও লয়ালটি দিতে হবে
৫। লিডারশীপ হলো ম্যান এবং রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট। তাই লিডারের একটা হিউম্যান টাচ থাকতে হবে।
আরও দুইটা জিনিশ না থাকলে কেউই লিডার হতে পারবে না,
১। ডিসিপ্লিন
২। ক্যারেক্টার
মানেকশোর এই লেকচারটি লিডারশীপ নিয়ে অন্যতম সেরা একটি লেকচার।
Leadership Lecture Sam Manekshaw - YouTube
‘Yes man’ that have surrounded Nehruvian and Indira Gandhi style of governance who lead in the list of inefficient and anti-people governance, have been the …
রেনে জিরার্দ নিয়ে ইবুক
রেনে জিরার্দ একজন ফ্রেঞ্চ আমেরিকান দার্শনিক। শুধু দার্শনিক বললে পুরো পরিচয় দেয়া না গেলেও , আমার মনে হয় এটাই তার অন্যসব পরিচয়কে কমবেশি ধারণ করে। যে কোর প্রশ্নটি নিয়ে তিনি ভেবেছেন তাহলো, মানুষ হওয়া আসলে কী? বা মানুষ আসলে কী?
তার চিন্তা, আমি মনে করি ব্যবহারিক জীবনে প্রয়োগ করার জায়গা আছে। ব্যবহারিক জীবনে প্রয়োগ করতে না পারলে বা এর সম্ভাবনাও না থাকলে আসলে থিওরি পূর্নতা পায় না।
ওকে,
তাকে নিয়ে লেখা ক্ষুদ্র ইবুকটির লিংক নিচে দেয়া হলো। পাসওয়ার্ড দিবেনঃ girardian
(স্মল লেটার g )
জিরার্দ ও তার মিমেটিক তত্ত্বের জগত – @ মুরাদুল ইসলাম
এই সাইটের সব লেখার লেখক মুরাদুল ইসলাম। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা, ৬ টি ফিকশনাল কাজ মৌলিক। একটি অনুবাদ। ফেইসবুকে বা ইন্সটাগ্রামে লেখকের সাথে যুক্ত হতে পারেন।
আন্ডারস্ট্যান্ডিং "আদার"
ড্যানিশ একজন পলিটিশিয়ানের টেড টক। উনি অনেক হেইট মেইল পেতেন। তিনি মনে করতেন যারা তাকে এরকম হেইট মেইল পাঠায় তারা নিশ্চয়ই মূর্খ ও খারাপ লোক। পরে তিনি একসময় ঠিক করেন যারা হেইট মেইল পাঠায় তাদের সাথে একদিন কফি খেতে বসবেন। এটা করতে গিয়ে তিনি অবাক হয়ে যান। তিনি দেখতে পান যে ওরাও তার মতো ভাল মন্দে মেশানো মানুষ এবং তাদের অনেক কমন জিনিস আছে।
এই টেড টকটি যাদের আমরা ঘৃণা করি বা যারা আমাদের ঘৃণা করে, তাদের ব্যাপারে আমাদের মনোভাব বদলাতে সাহায্য করলে করতে পারে।
Özlem Cekic: Why I have coffee with people who send me hate mail | TED Talk
Özlem Cekic’s email inbox has been full of hate mail since 2007, when she won a seat in the Danish Parliament – becoming the first female Muslim to do so. At first she just deleted the emails, dismissing them as the work of fanatics, until one day a friend made an unexpected suggestion: to reach out to the hate mail writers and invite them to meet for coffee. Hundreds of “dialogue coffee” meetings later, Cekic shares how face-to-face conversation can be one of the most powerful forces to disarm hate – and challenges us all to engage with people we disagree with.
কলম্বিয়া ও পাবলো এস্কোবারের হিপোপটেমাস
১৯৭৩ সালে লি ভ্যান ভ্যালেন নামের একজন আমেরিকান বায়োলজিস্ট, যিনি একজন মাল্টি ডিসিপ্লিনারি থিংকার ছিলেন, তিনি একটা দারুণ তত্ত্ব দেন। তার কথানুযায়ী কো-ইভলভিং প্রজাতিদের মধ্যে সব সময় একটা হাতাহাতি বা একটা যুদ্ধ চলতে থাকে, এবং এটাই ইকো সিস্টেমকে আকৃতি দেয়।
ডিপ সিমপ্লিসিটি বইতে জন গ্রিবিন এটি চমৎকার ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
ধরুন কোন একটা জায়গায় এক ধরনের ব্যাঙ প্রজাতি আছে যারা মাছি ধরে খায়।
এই সিস্টেমে দুইটা পরস্পর বিরোধী জিনিস আছে, যা সিস্টেমের মূল ফোর্স।
এক - ব্যাঙ মাছি খেতে চায়।
দুই - মাছি ব্যাঙ এর হাত থেকে বাঁচতে চায়।
এই দুই ফোর্সের কারণে ব্যাঙ এর মাছি ধরার নতুন ক্ষমতা যেমন, জিহবা লম্বা হতে পারে। অন্যদিকে মাছির লম্বা লাফ দেবার ক্ষমতা, বা কোন ধরনের বাজে স্বাদের রস নিঃসরণ করার ক্ষমতা অর্জিত হবে।
একটি ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করা যাক।
ব্যাঙ এর যদি আটালো জিহ্বা হয় তাহলে তারা বেশি মাছি ধরতে পারবে। পক্ষান্তরে মাছির শরীর যদি স্লিপারি হয় তাহলে তারা সেই আটালো জিহ্বা থেকে বাঁচতে পারবে।
ধরা যাক একটি পুকুরে এরকম ব্যাঙ ও মাছি আছে। মিউটেশনের কারণে আটালো জিহ্বা তৈরি হলো একটা ব্যাঙ এর । এতে কী হবে?
সেই ব্যাঙটি বেশি সুবিধা পাবে। বেশি মাছি খেতে পারবে। তার রিপ্রোডাকশনের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। তখন দেখা যাবে এক পর্যায়ে আটালো জিহ্বা যুক্ত ব্যাঙ এর সংখ্যা বেড়ে যাবে।
এর ফল কী?
বেশি হারে মাছি মারা যাবে। পুকুরের সিস্টেমে মাছির সংখ্যা সাময়িকভাবে কমে যাবে।
এই অবস্থায় যেসব মাছি টিকে থাকবে, তাদের শরীর স্লিপারি বেশি। অনেক মাছি মারা যাবার পরে, যেগুলি টিকে থাকবে তারা স্লিপারি তথা পিচ্ছিল শরীরের। এদের সন্তানাদি বাড়বে। তখন আমরা সিস্টেমে পাব পিচ্ছিল শরীরের মাছি।
অন্যদিকে আছে আটালো জিহ্বার ব্যাঙ। এদিকে পিচ্ছিল শরীরের মাছি।
অর্থাৎ, সিস্টেম আবার সাম্যাবস্থায় বা আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। আগে যেরকম অনুপাতে ব্যাঙ ও মাছির সংখ্যা ছিল, সেরকমই হয়ে যাবে সময়ের ব্যবধানে।
এটাই রেড কুইন ইফেক্ট নামে পরিচিত। এখানে অনেক কিছু হয়ে যাচ্ছে, নতুন জেনেটিক বৈশিষ্ট্য তৈরি হচ্ছে, কিন্তু অবস্থা একি থাকছে দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে।
এই হাইপোথিসিস এর মূল কথাটা হলো, একটি প্রজাতিকে প্রতিনিয়ত এডাপ্টেশন ও ইভলভিং এর ভেতর দিয়ে যেতে হবে কেবল পুনরুৎপাদনের সুবিধা অর্জনের জন্য নয়, টিকে থাকার জন্যই।
মানুষের প্রজাতি ও দেশের বা সমাজের জন্যও এটি প্রযুক্ত হয়।
নতুন প্রযুক্তি, জ্ঞান গ্রহণ করে সে অনুযায়ী এডাপ্টেশন ও ইভলভিং এর ভেতর দিয়েই যারা যেতে পারে, তারাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে। যারা স্টাক হয়ে থাকে, বদ্ধমূল, যেরকম প্রায় সব পিছিয়ে পড়া সমাজে দেখা যায় [যেমন বাংলাদেশের সমাজ] তারা পিছিয়ে পড়ে ও টিকে থাকার বিবর্তনগত প্রতিযোগিতায় নগণ্য হিসেবে অবস্থান করে।
এটি একটি মেন্টাল মডেল বা মানসিক নকশা হিসেবে মনে রাখতে পারেন।
এখানে এই হাইপোথিসিস অবশ্য অন্য একটি কারণে বলা। এবং তা হলো পাবলো এস্কোবার ও তার হিপোপটেমাসের কাহিনী।
কলম্বিয়ান ড্রাগ লর্ড পাবলো এস্কোবার আমাদের এখানে জনপ্রিয় হয়েছেন নেটফ্লিক্স টিভি সিরিজ নারকোজ এর কারণে। এই ড্রাগ লর্ড একবার চারটি হিপোপটেমাস বেআইনি ভাবে স্মাগল করে নিয়ে এসেছিলেন কলম্বিয়ায়। কথিত আছে, তিনি একটি রাশান কার্গো বিমান চুরি করে সেটা নিয়ে আফ্রিকায় যান, ওখান থেকে অন্যসব প্রাণীদের সাথে একটা পুরুষ হিপো ও তিনটা নারী হিপো নিয়ে আসেন।
কলম্বিয়ার পরিবেশ হিপোদের জন্য খুবই অনুকূল, স্বর্গ বলা যায়। কারণ হিপোরা যা পছন্দ করে অগভীর জলাশয় ও সবুজ ঘাস, তা কলম্বিয়ায় প্রচুর রয়েছে। আরেক ব্যাপার হলো, রেড কুইন ইফেক্ট তৈরি হবার মতো পরিবেশ ওখানে নেই, প্রাকৃতিক বিরুদ্ধ শক্তি নেই। ফলে হিপোদের সংখ্যা বাড়ছে। কলম্বিয়ার প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে হিপোরা এখানে দ্রুত বাচ্চা দেবার উপযুক্ত হয়ে যাচ্ছে, এবং তাদের চিরাচরিত আচরণেও আসছে পরিবর্তন। আফ্রিকায় খুবই শুষ্ক সিজন আসতো বছরে, তখন হিপোদের প্রাকৃতিক জন্ম নিয়ন্ত্রণ হতো, কিন্তু কলম্বিয়ায় এটা হচ্ছে না।
এই বিরাট সাইজের প্রাণিটি ডব্লিউএইচও এর মতে আফ্রিকার সবচাইতে ডেডলিয়েস্ট এনিমেল এর অন্যতম, বছরে ৫০ জন মারা যায় তাদের হাতে। ফলে কলম্বিয়ার সরকার খুবই জটিল সিচুয়েশনে আছে হিপোদের নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে।
কলম্বিয়ান সরকার একবার হিপোদের স্টেরিলাইজ করার প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছিল। কিন্তু সেটি তারা করতে পারে নি, কারণ এই জিনিসটা করা খুবই কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল।
পাবলো এক্সোবারের হিপো ও কলম্বিয়ার অদ্ভুত সমস্যা নিয়ে বিগ থিংক এর ভিডিওটি দেখুন। মজার, ও ইনসাইটফুল।এবং রেড কুইন ইফেক্ট যখন বাঁধাগ্রস্থ হয়।
Pablo Escobar’s hippos: Why drug lords shouldn’t play God | Lucy Cooke - YouTube
Read more at BigThink.com: Follow Big Think here: YouTube: http://goo.gl/CPTsV5 Facebook: https://www.facebook.com/BigThinkdotcom Twitter: https://twitter.co…
এডাপ্টেশন নিয়ে যেহেতু কথা হচ্ছে, তাই আমি এডাপ্টেশন ফিল্মটি দেখতে বলছি। স্ক্রিনরাইটার চার্লি কাউফম্যানের ব্রিলিয়ান্স এই ফিল্মের সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। অভিনয়ে মেরিল স্ট্রিপ, নিকোলাস কেইজ, ক্রিস কুপার। দেখে ভুলে যাবার মত ফিল্ম এটি নয়।
Adaptation (film) - Wikipedia
Adaptation. is a 2002 American comedy-drama metafilm directed by Spike Jonze and written by Charlie Kaufman. It is based on Susan Orlean’s non-fiction book The Orchid Thief, with numerous self-referential events added, and stars Nicolas Cage as Kaufman and his fictional twin brother Donald, Meryl Streep as Orlean, and Chris Cooper as John Laroche, with Cara Seymour, Brian Cox, Tilda Swinton, Ron Livingston, and Maggie Gyllenhaal in supporting roles.
"রিয়াল" নিউজের সমস্যা
News is all about sensational, exceptional, negative, and current events.
The problem with real news — and what we can do about it
News is all about sensational, exceptional, negative, and current events. And those five words capture precisely the problem with news.
নাজ থিওরি কী ?
নাজ হলো কোন পরিবেশের অল্প পরিবর্তন এবং এর মাধ্যমে মানুষের আচরণ সম্ভাব্য দিকে ধাবিত করা।
নিচেরটা ছবিটা জার্মানীর একটা এয়ারপোর্টের পুরুষদের জন্য টয়লেটের। সেখানে প্রস্রাব ছিটকে পড়ত। তারা তাই একটি মাছির ছবি এঁকে রেখেছে। এতে ব্যবহারকারীরা এইম করার মতো একটি জিনিস পেল, ফলে দেখা গেছে প্রস্রাব ছিটকে যাওয়া কমে গেছে।
এটাই নাজ।
কুওট
“Intelligence is not only the ability to reason; it is also the ability to find relevant material in memory and to deploy attention when needed.”
― Daniel Kahneman, Thinking, Fast and Slow
স্টারজিওন'স ল
স্টারজিওনের ল টা হলো, “ninety percent of everything is crap”। কোন কিছুর নব্বই ভাগ হচ্ছে ফালতু। তার সাহিত্য শিল্প বিজনেস যাই বলেন না কেন।
সমালোচক ও সচেতন পাঠকদের জন্য দরকারী, দরকারী অন্যদের জন্যও।
এই ল যে ইনসাইটটা দেয়, তা হচ্ছে, কোন ফিল্ডের ফালতু জিনিসপত্র বেশি, তাই আপনি যদি ফালতুগুলা খুঁজতে যান ও তা নিয়েই “কেবল” বলতে যান তাহলে ভালগুলার খোঁজ পাবেন না।
ফালতু বই আপনি ইজিলি পেতে পারেন, কিন্তু ভাল বই পেতে হয়ত কষ্ট করতে হতে পারে।
তবে সাহিত্যের ক্ষেত্রে ফালতুদের সম্পর্কে সরব থাকা ও তাদের বিরোধীতা করা দরকারি। তা না হলে তারাই শক্তিশালী হয়ে উঠবে। আর গ্রেশামের নীতি যা বলে তাই হবে, সময়ের ব্যবধানে ব্যাড মানি ড্রাইভস আউট গুড।
আপনাদেরকে ধন্যবাদ
বিশেষত যারা আগের ইমেইলে উল্লেখিত বিষয়ে সাহায্য করেছেন। ৫০ থেকে সাবস্ক্রাইব নেয়ার সুযোগ ১৫৫০ এ উন্নীত হয়েছে আপনাদের সাহায্যে।
যা পড়ছি
১। The Ten Commandments for Business Failure - Donald Keough
বিজনেসের জন্য এটা বেস্ট একটা বই। সবার পড়া দরকারী। এটা নিয়ে শীঘ্রই লেখব।
“Among some of the most successful people I’ve known well and worked with I’ve found there is often a self-effacing quality-an avoidance of the Spotlight” - Donald R. Keough
ছবি শেয়ার করে দিলাম। এটা তুলছিলাম এক সপ্তাহ আগে সম্ভবত।
২। অবাক বাংলাদেশ বিচিত্র ছলনাজালে রাজনীতি - আকবর আলি খান।
গুরুত্বপূর্ন বই। পড়তে সময় লাগবে।
৩। আত্মঘাতী বাঙালী - নীরদচন্দ্র চৌধুরী
মোটামোটি।
৪। নামহীন বই - মাহফুজ সিদিকী হিমালয়।
১০০ পেইজ পড়েছি। ইন্টারেস্টিং।
৫। প্রমথ চৌধুরীর প্রবন্ধসংগ্রহ।
ভালো লাগছে না।
যেসব বই কুইক রিডিং দিবঃ
১। I am a phenomenon quite out of the ordinary : the notebooks, diaries and letters of Daniil Kharms
এই এবসার্ডিস্ট রাশান লেখকের খোঁজ অল্পদিন আগে পেলাম। তার পুশকিন নিয়ে কিছু এনেকডোট পড়তে পারেন এখান থেকে।
২। The Shallows: What the Internet Is Doing to Our Brains by Nicholas G. Carr.
৩। True to Form How to Use Foundation Training for Sustained Pain Relief and Everyday Fitness by Eric Goodman
৪। Intuition Pumps And Other Tools for Thinking by Daniel C. Dennett (এটা মনে হচ্ছে কুইক রিডিং এ হবে না। যদি দেখি ভালো তাহলে ধীর রিডিং এ যাব। )
শেষ কথা
এটি প্রথম ইমেইল এখানে। আশা করছি, সামনে আরও ভালো ও সমৃদ্ধ ইমেইল দিতে পারব।
আপনারা এটি শেয়ার করতে পারেন চাইলে।
এবং যেকোন পরামর্শ, সাহায্য ও মতামত জানাতে সরাসরি আমাকে ইমেইল করতে পারেন। মতামত কাজে উৎসাহ দেয়।
শেষে একটা সাম্প্রতিক ব্যাপার নিয়ে প্রশ্ন রাখতে চাই। আপনারা ভেবে নিজের মতামত ফেইসবুকে বা ইমেইলে জানাতে পারেন, বা স্ট্যাটাস দিতে পারেন।
প্রশ্নটি সাম্প্রতিক #মিটু নিয়ে। অনেক নারীরা তাদের উপর করা যৌন নির্যাতনের ব্যাপারে মুখ খুলেছেন। ভয়াবহ ভাবে এই জিনিসটা আমাদের সমাজে আছে। আমরা অবশ্যই এখানে নারীদের সাথে থাকব। এ ব্যাপারে কোন দ্বিমত থাকতে পারে না।
প্রশ্নটা হলো, ধরা যাক কোন মেয়ে নিজের চাকরি সুবিধা বা আবেগের কারণে যৌন সম্পর্ক করলেন। পরে তার মনে হলো তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এক্ষেত্রে এটা কি প্রতারণা হিসেবে গণ্য হবে?
এক্ষেত্রে, অনেক ক্ষেত্রে এমন হয় যে, পুরুষটি অথরিটি হিসেবে থাকে। একবার আফগানিস্থানে আমেরিকার এক অফিসার ছিল, যার সাথে আর্মি একটা মেয়ের প্রেম হয়েছিল। তারা সেক্স করত। পরে মেয়েটি দেখল এই অফিসার তার অপছন্দের লোকদের রিস্কি জায়গায় যুদ্ধে পাঠাত। এটা দেখার পর, মেয়েটি ভয়ে আর সেক্স আহবানে না বলতে পারে নি।
এটা নিয়ে পরে আমেরিকায় মেয়েটি মামলা করে। ও অফিসারের শাস্তি হয়। কিন্তু অফিসার ভেবেছিল মেয়েটি প্রেম থেকেই কাজটি করেছে।
এছাড়া বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, যেখানে আমরা কাঁকড়া সমাজ তৈরি করে আছি, একজন উঠলে তারে পেছন থেকে টেনে ধরি। এই অবস্থায় পুরুষ অন্য পুরুষকে ঘায়েল করতে #মিটু ইউজ করতে পারে কি না, এবং এর ফলে #মিটু এর মূল জায়গা বাধাগ্রস্থ হতে পারে কি না।
এবং এক্ষেত্রে ব্ল্যাকস্টোন নীতিটি কীভাবে রক্ষিত হবে, “It is better that ten guilty persons escape than that one innocent suffer.”
স্ট্যাটাসে উত্তর দিলে আমাকে ট্যাগ করতে পারেন। আর আরও কোন প্রশ্ন আপনার মনে আসলে তাও শেয়ার করুন। উত্তর বের করা একমাত্র মূল কথা নয়, প্রশ্ন বের করাও আরেকটা গুরুত্বপূর্ন জায়গা।
মুরাদুল ইসলাম