মুরাদুল ইসলামের নিউজলেটার - Issue #18
এই সংখ্যা পাঠাতে দেরী হলো। এটি আমেরিকা থেকে পাঠানো প্রথম সংখ্যা। আশা করছি এখন থেকে দ্রুত কিছু সংখ্যা পাঠাতে পারব।
আবা়রো আমার ফেইসবুক বন্ধ আছে।
এই সংখ্যার প্রথমে থাকুক জ্যাজ মিউজিকের উৎপত্তি বিষয়ক এই লেখাটি।
এরপর সিনেমার পোস্টার আঁকা এই শিল্পীর খবর।
কাশ্মীরে যিশু কি এসেছিলেন? সেই গল্প পড়তে পারে।
সাঁওতাল বাড়ির দেয়ালে চিত্রকর্ম। দেখতে পারেন।
ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম নিয়ে এই লেখাটি দেখা যায।
রবার্ট সাপোলস্কি
সাইন্সকে এবং নিজের কাজকে অসাধারণ সহজভাবে যারা বুঝাতে পারেন তাদের একজন হলেন অধ্যাপক রবার্ট সাপোলস্কি। তার মতো এতো সুন্দরভাবে কথা বলতে, এবং হিউমার ব্যবহার করতে আমি আর দেখি নি। তার প্রতিটি লেকচার মানব প্রকৃতি সম্পর্কে ইনসাইটে পূর্ণ থাকে।
এখানে তার লেকচারটিতে তিনি বলেছেন কীভাবে বেবুনরা মাত্র এক প্রজন্মের মধ্যেই নিজেদের বাজে ব্যবহার পরিত্যাগ করতে পেরেছে, যেগুলিকে ধরা যেত ন্যাচারাল।
আরেকটি মারাত্মক ইনসাইট টেস্টোস্টেরন নিয়ে। সাপোলস্কির একটি বই আছে টেস্টোস্টেরন নিয়ে। লেকচার আছে অনেক। এগুলি আপনারা দেখতে পাবেন।
টেস্টোস্টেরন একটি হরমোন, যা সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে।
ধরা যাক ৫ টি বানর নেয়া হলো। হায়ারার্কিতে এক থেকে পাঁচ। অর্থাৎ প্রথমটি বাকি চারটাকে হারাতে পারে, দ্বিতীয়টি বাকি তিনটাকে এরকম করে।
এখন তৃতীয় বানরকে যদি প্রচুর, প্রচুর পরিমাণে টেস্টোস্টেরন পুশ করে দেয়া হয় তাহলে কী হবে?
সাধারণ ধারণায় মনে হয় সে ১ বা ২ এ থাকা বানরের সাথে ফাইট শুরু করে দেবে।
কিন্তু সাপোলস্কি তার গবেষণা থেকে জানালেন এটা হবে না। বরং, তৃতীয় বানরটি তার নিচে থাকা দুই বানরকে মারাত্মক নির্যাতন শুরু করে দেবে।
অর্থাৎ, টেস্টোস্টেরন সামাজিক রীতিতে প্রচলিত নির্যাতন প্রক্রিয়াকেই বাড়িয়ে দেয়। আরেকটি লেকচারে তিনি উদাহরন দিয়েছিলেন রেডিওর সুইচ দিয়ে। টেস্টোস্টেরন সুইচ অন করবে না, কিন্তু সুইচ অন থাকলে তীব্রতা বাড়াবে।
—-
সিরাজুল হোসেনের এই লেখাটি পড়া যেতে পারে।
—-
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি আর্মিদের ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীরা তাদের প্রাপ্য মর্যাদা পেয়ছেন কি? গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ নিয়ে এই লেখা।
—-
রাইডার, সেবা প্রকাশনীর ওয়েস্টার্ণ। এটি পড়ে আমার ভালো লেগেছে।
—
ডীপ ফেইক - অন্যের ভিডিওতে নিজের মুখ দেয়ার ,এবং অডিও দিয়ে ফেইক ভিডি।
—-
ফ্রি ইউ এক্স ডিজাইন কো়র্স। লিংক।
—-
মানি ও ইনভেস্টিং নিয়ে মাত্র একটি লেখা পড়তে চাইলে এটি পড়া যায।
—-
জয়া মিত্র কাশ্মীর আগ্রাসনের আড়াল ইন্ডিয়ার অর্থনৈতিক দুরাবস্থা বিষয়ে।
—–
এই স্টাডির মিস-ইন্টারপ্রিটেড বাংলা নিউজ দিয়ে অনেকেই প্রচার করেছে সাইন্স বলেছে যে, গে/লেসবিয়ান হওয়া জিনগত না। এদের জন্য এই লেখাটির একটি লাইন তুলে ধরা যায়, “We must also recognize that bigotry needs no data.” স্টাডি বিষয়ে বিস্তারিত।
—-
কারা যুদ্ধের সওদাগর? কারা যুদ্ধের বীরত্বগাথায় মগ্ন? যুদ্ধ থেকে যাদের লাভ হয়। তাদের স্কিন খেলায় নেই। নিজেরা যায় না যুদ্ধে, নিজের সন্তানেরা যাচ্ছে না। যারা যুদ্ধ করেছে তারা যুদ্ধ চায় না। তারা জানে যুদ্ধ মানে ধ্বংস। যুদ্ধের বীরত্বগাথা গল্প উপন্যাসে আর কবিতায়। বাস্তবে যুদ্ধ মানে মর্মান্তিক হাহাকার। এই লেখাটির সারমর্ম এটাই। লেখাটির নিচে চমৎকার এক ভিডিও আছে।
——-
নিচের গ্রাফে দেখানো হয়েছে বিভিন্ন দেশে কী পরিমাণ পারমানবিক অস্ত্র মজুদ করা হয়েছিল এবং কী পরিমাণ অকেজো করা হয়েছে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলের সাথে সাথে।
কীভাবে একটি দেশ তাদের পারমানবিক অস্ত্র অকেজো করে? কারণ এখানে প্রচুর সতর্কতার প্রয়োজন হয়। ভুল হলে দূর্ঘটনা ঘটে যাবে। বোমাটি যে ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে নির্মান করা হয়েছে সেটি অনুসরণ করে বিভিন্ন অংশ খুলে ফেলা হয়। পরে এর ভিতরে থাকা ইউরেনিয়াম/প্লুটোনিয়ামকে বিদৎপাদনের কাচামাল হিসেবে তৈরি করা হয়। অস্ত্রে ব্যবহৃত ইউরেনিয়াম বা প্লুটোনিয়াম সরাসরি বৈদ্যুতিক প্লান্টে ব্যবহার করা যায় না। এতো শক্তিশালী চুল্লী নেই। তাই আগে ঘনত্ব কমানো হয়। এগুলি খুবই ব্যয়সাপেক্ষ। তাই বর্তমানে নিউক্লিয়ার বোম নিষ্ক্রিয় করতে কেবল ট্রিগার সুইচ খুলে ফেলার আরেকটি প্রক্রিয়া আছে। ট্রিগার সুইচ খুলে ফেললে এটি আর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু এক্ষেত্রে আবার ট্রিগার সুইচ লাগিয়ে একে অস্ত্রে পরিণত করা যায়, যদিও এটি লাগাতে কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে। এইসব নিয়েই লেখাটি।